ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চালানো ভয়াবহ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে উঠেছে প্রতিবাদের ঝড়। মুসলিম বিশ্বের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের বিবেকবান মানুষ শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধ হিসেবে ইসরায়েল ও এর মিত্র ব্র্যান্ডগুলোর পণ্য বর্জনের ডাক দিচ্ছেন। বয়কটের আওতায় থাকা অনেক ব্র্যান্ড এমন, যেগুলো প্রতিদিনের জীবনযাত্রার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তবু ধর্ম, মানবতা এবং সংহতির প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে অনেকেই এসব পণ্য বর্জনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।
ইসরায়েল ঘনিষ্ঠ যেসব ব্র্যান্ডকে মুসলিমরা বয়কট করছেন সেসব কোম্পানির একটি দীর্ঘ তালিকা প্রকাশ করেছে দ্য ইসলামিক ইনফোরমেশন নামের একটি ওয়েবসাইট। সেখানে দেখা গেছে, বয়কটের তালিকায় রয়েছে প্রযুক্তি ব্র্যান্ড থেকে শুরু করে খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত কোম্পানিও।
বয়কট করা এসব ব্র্যান্ডের মধ্যে রয়েছে- ইসরায়েলে গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রে থাকা মার্কিন বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি অ্যাপল। ইহুদি সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটির সঙ্গে অংশীদারিত্ব থাকা প্রতিষ্ঠান আরেক মার্কিন বহুজাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যামাজন। নেতানিয়াহুর দেশে ব্যবসা পরিচালনা করা প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস এবং ইসরায়েলের দখল করা ফিলিস্তিনি ভূমিতে কারখানা স্থাপন করা মার্কিন বহুজাতিক কোমল পানীয় উৎপাদনকারী কোম্পানি কোকাকোলা।
এ ছাড়া মুসলিমদের বয়কটের তালিকায় আরও রয়েছে- ইসরায়েলি সেনাদের জন্য খাবার বিতরণ করা মার্কিন মাল্টিন্যাশনাল ফাস্টফুড চেইন ম্যাকডোনাল্ডস। ইহুদি সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটিতে ব্যবসা ও পণ্য বিক্রি করা আরেক বহুজাতিক কোম্পানি ইউনিলিভারও রয়েছে বয়কটের তালিকায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি ফুড কোম্পানি ‘ওসেম’-এর ৫৩.৮% মালিকানা রয়েছে নেস্টলের। ফলে, এদের পণ্য বয়কট করা হচ্ছে। ইসরায়েলি সোডাস্ট্রিম কোম্পানির সঙ্গে ব্যবসায়িক ইতিহাস রয়েছে পেপসিকো। ফলে, তারাও বয়কট এড়াতে পারছে না। আর ইসরায়েলে সক্রিয় ব্যবসা থাকায় লোরিয়ালের পণ্যও বয়কট লিস্টে রাখা হয়েছে। সে সঙ্গে ইসরায়েলি প্রকল্পে প্রযুক্তি বা পণ্য সরবরাহ করে এই বয়কটে নিজেদের নাম লিখিয়েছে হুন্দাই ও ফিলিপসের মতো কোম্পানি।
উল্লেখ্য, এই তালিকাটি দীর্ঘ। যেখানে কয়েকশ ব্র্যান্ডের নাম রয়েছে। যেগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের রয়েছে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সংযোগ। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ এবং সংহতির প্রতীক হিসেবে এসব ব্র্যান্ডকে বয়কট করছেন মুসলিম ও বিশ্বের বিবেকবান মানুষরা।
মন্তব্য করুন