এশিয়াজুড়ে একের পর এক ভূমিকম্পের ঘটনায় যখন উদ্বেগ ছড়িয়েছে, ঠিক এমন সময় দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপপুঞ্জ ফিজিতেও আঘাত হানল শক্তিশালী ভূমিকম্প। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর, ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে উৎকণ্ঠা আরও বেড়ে গেছে।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৩ মিনিটে ফিজির দক্ষিণাঞ্চলে ৬ দশমিক ৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্প অনুভূত হয় বলে নিশ্চিত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৭৪ কিলোমিটার গভীরে, যার ফলে ভূমির ওপর কম্পনের তীব্রতা কিছুটা কম হলেও বিস্তৃত এলাকাজুড়ে অনুভূত হয়।
এদিকে মার্কিন সুনামি সতর্কতা কেন্দ্র জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল গভীর সমুদ্রে হওয়ায় সুনামির আশঙ্কা নেই।
উল্লেখ্য, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও নির্মল সৈকতের জন্য পরিচিত ফিজি প্রতি বছর বিপুলসংখ্যক পর্যটককে আকৃষ্ট করে। ২০২৪ সালে প্রায় ১০ লাখ পর্যটক এই দ্বীপে ভ্রমণ করেছিলেন। যদিও সোমবারের ভূমিকম্পে এখনো পর্যন্ত কোনো হতাহত বা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি, তবে স্থানীয়ভাবে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এর আগে রোববার, মধ্য এশিয়ার তাজিকিস্তানে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। একই দিন মিয়ানমারের মেইকটিলা শহরের কাছাকাছি ৫ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
তারও আগে শনিবার, পাকিস্তানের ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডি এবং আশপাশের পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখাওয়া অঞ্চলে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হয়।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এসব ভূমিকম্প পারস্পরিকভাবে সংযুক্ত নাও হতে পারে, তবে একাধিক ভূমিকম্প কাছাকাছি সময়ে ঘটায় অনেকেই এটিকে বড় কোনো ভূতাত্ত্বিক পরিবর্তনের পূর্বাভাস হিসেবে দেখছেন।
বর্তমানে ফিজিসহ এশিয়ার বেশ কয়েকটি অঞ্চল ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায় অবস্থান করছে। এমন পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে আরও সতর্কতা অবলম্বন ও পূর্বপ্রস্তুতি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
মন্তব্য করুন