শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে দক্ষিণ–পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের ওশেনিয়া অঞ্চলে অবস্থিত দ্বীপ রাষ্ট্র নিউজিল্যান্ড। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার বরাতে এ তথ্য জানায় দ্য স্ট্রেইটস টাইমস।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণ দ্বীপে ৬.৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। দেশটির দক্ষিণ দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্ত থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে স্থানীয় সময় বিকেল ২.৪৩ মিনিটে (সিঙ্গাপুর সময় সকাল ৯.৪৩ মিনিটে) ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
মূল ভূখণ্ড রিভারটন থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার দূরে কেন্দ্রীভূত কম্পনটি প্রাথমিকভাবে ৭.০ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছিল। তবে আঘাত হানার সময় এর মাত্রা হ্রাস পায়।
হনোলুলু-ভিত্তিক প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, সুনামির কোনো সতর্কতা জারি করা হয়নি। এ ছাড়া তাৎক্ষণিক ক্ষয়ক্ষতির খবরও পাওয়া যায়নি।
তবে নিউজিল্যান্ডের জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা শক্তিশালী এবং অস্বাভাবিক স্রোতের ঝুঁকির কারণে বাসিন্দাদের নিকটবর্তী উপকূলীয় এলাকা এড়িয়ে চলার জন্য সতর্ক করেছে। সংস্থাটি একটি জাতীয় বার্তায় বলেছে, ভূমিকম্পে কোনো বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নেই।
নিউজিল্যান্ডের সরকারি ভূতাত্ত্বিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা জিওনেট জানিয়েছে, নিউজিল্যান্ডের সাব-অ্যান্টার্কটিক দ্বীপপুঞ্জের সবচেয়ে উত্তরে অবস্থিত স্নারেস দ্বীপপুঞ্জের প্রায় ১৬০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ৩৩ কিলোমিটার (২১ মাইল) গভীরে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ৪ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ কম্পনটি তীব্রভাবে অনুভব করেছেন।
এদিকে কম্পনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। তারা দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে যান। রিভারটনের লা রিভেরা গেস্টহাউসের মালিক মিসেস রোজ আইভরি বলেন, তার গাড়িটি দুলছিল এবং গড়িয়ে দূরে সরে যাচ্ছিল। এ দৃশ্য দেখে তিনি ভীত হয়ে পড়েন। তবে পরক্ষণেই সব স্বাভাবিক হয়ে যায়। তিনিসহ তার গেস্টহাউসের অতিথিরা আতঙ্কিত।
মন্তব্য করুন