কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৬ মার্চ ২০২৫, ০৫:১৫ পিএম
আপডেট : ০৬ মার্চ ২০২৫, ০৭:০১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ধেয়ে আসছে ‘বিরল’ ঘূর্ণিঝড়, সরে যাচ্ছেন মানুষ

সমুদ্রে সৃষ্ট সাইক্লোন। ছবি : সংগৃহীত
সমুদ্রে সৃষ্ট সাইক্লোন। ছবি : সংগৃহীত

জনবহুল অঞ্চলের দিকে ধেয়ে আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। সামুদ্রিক এ ঝড়টিকে বিরল বলা হচ্ছে কারণ, গত ৫০ বছরে সেখানে কোনো সাইক্লোনের দেখা মেলেনি। পানিতে তলিয়ে যেতে পারে এমন অঞ্চল থেকে সাধারণ মানুষকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। শক্তিশালী এ ঝড়টির প্রভাবে ঘণ্টায় ১৫৫ কিলোমিটার গতিতে বাতাস বইতে পারে।

বৃহস্পতিবার (০৬ মার্চ) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ‘বিরল’ সাইক্লোন আলফ্রেড। দেশটির কুইন্সল্যান্ড এবং নিউ সাউথ ওয়েলসের ৫০০ কিলোমিটার উপকূলীয় এলাকাজুড়ে এটির প্রভাব পড়বে। সাইক্লোন আলফ্রেড ক্যাটাগরি-২ ঝড় হিসেবে আগামীকাল শুক্রবার (০৭ মার্চ) অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় বৃহৎ শহর ব্রিসবেনের কাছে আছড়ে পড়তে পারে। কুইন্সল্যান্ড প্রদেশের রাজধানী শহরটিতে প্রায় ২৫ লাখ মানুষের বসবাস রয়েছে।

সতর্কবার্তায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সাইক্লোনের প্রভাবে ব্যাপক বৃষ্টি হতে পারে। যা জীবনহানিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া ব্যুরো জানিয়েছে, ৯ দিন আগে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আলফ্রেড বুধবার পর্যন্ত উপকূল থেকে মাত্র ৪০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল এবং ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৬৪ কিলোমিটার গতিতে দমকা বাতাসের সঙ্গে পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আক্রান্ত অঞ্চলের কিছু জায়গায় ৮০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যা মার্চের গড় বৃষ্টিপাতের চেয়ে অনেক বেশি।

কুইন্সল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী ডেভিড ক্রাইসাফুল্লি সাংবাদিকদের বলেছেন, দক্ষিণ-পূর্ব কুইন্সল্যান্ডের জন্য এটি খুবই বিরল একটি ঘটনা। গত কয়েক দশকে রাজ্যের এ অঞ্চল কোনো সাইক্লোনের মুখোমুখি হয়নি।

দক্ষিণ-পূর্ব কুইন্সল্যান্ড এবং উত্তর নিউ সাউথ ওয়েলসে সর্বশেষ ১৯৭৪ সালে সাইক্লোন আঘাত হেনেছিল। অপরদিকে কুইন্সল্যান্ডের রাজধানী ব্রিসবেন সর্বশেষ সাইক্লোনের হুমকিতে পড়েছিল ১৯৯০ সালে। কিন্তু অল্পের জন্য সাইক্লোনটি ব্রিসবেনে আঘাত হানেনি।

ব্রিসবেন সিটি কাউন্সিল জানিয়েছে, কুইন্সল্যান্ডের রাজধানী ব্রিসল্যান্ডের প্রায় ২০ হাজার বাড়ি ঝড় বা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সাইক্লোন আসার খবরে হাজার হাজার মানুষ উপকূলীয় অঞ্চলের বাড়ি থেকে সরে গেছেন। তাদের জায়গা করে দিতে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র খুলছে স্থানীয় সরকার। এছাড়া আতঙ্কে মানুষ পণ্য কিনে মজুত করছেন। এতে সুপারমার্কেগুলোয় পণ্যের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এছাড়া সেখানে বালুর ব্যাগেরও সংকট দেখা দিয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

লালবাগে ছাত্রদলের উদ্যোগে মাসব্যাপী ইফতার

অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের

৫১ নারীকে বিশেষ সম্মাননা দিল ঢাকার রাশিয়ান হাউস

‘মব থেকে বাঁচাতে’ পলকের বাড়ি হয়ে গেল অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প

সরকারি চাল লুট, পদ হারিয়ে কাঁদলেন বিএনপি নেতা

ওড়নাকাণ্ড নিয়ে ঢাবি শিবির সভাপতির স্ট্যাটাস

নির্বাচন নিয়ে সারজিসের মন্তব্য, রাজনীতিবিদদের প্রতিক্রিয়া

আ.লীগ আমলে তথ্য কমিশন দলীয় ক্যাডারে চলতো : ইফতেখারুজ্জামান

বিয়ের পিঁড়িতে মিলন, পাত্রী কে?

সমন্বয়ক পরিচয়ে যুবক অপহরণ, ৫ ঘণ্টা পর উদ্ধার

১০

আবরার ফাহাদ হচ্ছেন আগ্রাসনবিরোধী সংগ্রামের চেইন : ক্রীড়া উপদেষ্টা

১১

ঘুষ না দেওয়ায় সেচের সংযোগ দেননি এজিএম

১২

জুলাই বিপ্লবে নির্দিষ্ট গ্রুপ ছাড়া সব ছাত্র বঞ্চিত হয়েছে : রাশেদ প্রধান 

১৩

এনসিপি থেকে পদত্যাগ করে গণঅধিকারে ফিরলেন হানিফ 

১৪

জোরপূর্বক বসতবাড়ি দখল ও লুটপাটের অভিযোগ

১৫

জবিশিস সম্পাদককে নিয়ে প্রকাশিত সংবাদকে ভিত্তিহীন দাবি করে প্রতিবাদ

১৬

মাসব্যাপী গণইফতার বিতরণ কার্যক্রম চলছে গণঅধিকার পরিষদের

১৭

গরম বাড়বে কবে জানাল আবহাওয়া অফিস

১৮

ভুট্টাক্ষেত থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার

১৯

সাবেক এমপি আফতাব ৪ দিনের রিমান্ডে

২০
X