গত বছর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোতে রেকর্ড ৪৩ হাজার ২৩৬ জন বাংলাদেশি আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন। কিন্তু সাড়া মিলেছে মাত্র ৩ দশমিক ৯ শতাংশ।
সোমবার (০৩ মার্চ) ইউরোপের আশ্রয় সংস্থা ইউরোপীয় ইউনিয়ন এজেন্সি ফর অ্যাসাইলাম (ইইউএএ) প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানানো হয়।
ইইউভুক্ত দেশগুলোতে আশ্রয়ের জন্য যে পরিমাণ বাংলাদেশি আবেদন করেছেন, সে হিসেবে আশ্রয় চাওয়া দেশের তালিকায় বাংলাদেশ আছে ছয় নম্বরে। বাংলাদেশিদের করা ৯৬ শতাংশেরও বেশি আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।
ইইউএএ’র প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত বছর মোট ৪৩ হাজার ২৩৬ জন বাংলাদেশি ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে আশ্রয় চেয়েছিলেন। ২০২৩ সালে এই সংখ্যা ছিল ৪০ হাজার ৩৩২ জন। তবে, আশ্রয়প্রত্যাশী কী কারণে বৃদ্ধি পেয়েছে তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।
এতে বলা হয়েছে, গত বছর ইতালিতে সর্বাধিক ৩৩ হাজার ৪৫৫ বাংলাদেশি আশ্রয় চেয়েছিলেন। ২০২৩ সালে এই সংখ্যা ছিল ২৩ হাজার ৪৪৮ জন। গত বছর ইতালিতে আশ্রয়প্রত্যাশীর সংখ্যা ছিল মোট আবেদনকারীর ২১ শতাংশ। বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্সে আবেদনের সংখ্যা অবশ্য কমেছে। ২০২৩ সালে ছিলেন ১০ হাজার ২১৫ জন কিন্তু ২০২৪ সালে তা কমে হয়েছে ছয় হাজার ৪২৯ জন। এ ছাড়া গ্রিসে ২০২৩ সালে আবেদন করেছিল ৬৪০ বাংলাদেশি। গত বছর আবেদন করেছিল এক হাজার ৪ জন।
ইইউএএ’র প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত বছর বাংলাদেশি আশ্রয়প্রত্যাশীদের প্রায় চার শতাংশকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে, যা মোট আবেদনকারীদের মধ্যে সর্বনিম্ন। তবে, সিরিয়া থেকে আশ্রয়প্রত্যাশীদের মধ্যে ৯০ শতাংশকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। আর আফগানিস্তানের আবেদনকারীদের মধ্যে ৬৩ শতাংশকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর ইউরোপীয় ইউনিয়ন, নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ডে ১০ লাখের বেশি লোক আশ্রয়ের আবেদন করে, যা আগের বছরের তুলনায় ১১ শতাংশ কম। জার্মানিতে আবেদন করে দুই লাখ ৩৭ হাজার লোক, যা আগের বছরের তুলনায় ২৯ শতাংশ কম। জার্মানির পর স্পেন, ইতালি ও ফ্রান্সের প্রতিটি দেশে এক লাখ ৬০ হাজার আশ্রয়প্রত্যাশী আবেদন করেছিল।
মন্তব্য করুন