রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে অংশ নিতে একটি মাত্র দেশ সরাসরি সৈন্য পাঠিয়েছিল। সেই দেশটি হল উত্তর কোরিয়া। গত অক্টোবরে বন্ধু পুতিনকে সহযোগিতা করতে দশ হাজারের বেশি সৈন্য পাঠান কিম। এসব সৈন্য ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সরাসরি সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণও করে। পরে জানুয়ারির মাঝামাঝিতে তাদের যুদ্ধক্ষেত্র থেকে প্রত্যাহারের খবর বের হয়।
তবে সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা দাবি করেছে, যুদ্ধক্ষেত্র থেকে প্রত্যাহার করা কোরীয় সৈন্যদের আবারও ফ্রন্টলাইনে মোতায়েন করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, উত্তর কোরিয়া থেকে আরও ৩ হাজার সৈন্য নতুন করে রাশিয়ায় পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সিউলের একটি সংবাদমাধ্যম।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার দৈনিক জুঙ্গাংয়ের এক প্রতিবেদনে অজ্ঞাত সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া গত জানুয়ারি থেকে জাহাজ এবং সামরিক কার্গো বিমানে করে রাশিয়ায় অন্তত ৩ হাজার অতিরিক্ত সৈন্য পাঠিয়েছে। আগে থেকে যুদ্ধক্ষেত্রে অবস্থান করা সৈন্যদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে নতুন পাঠানো সেনারা। দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রগুলোও একই ধরনের দাবি করছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ করতে যখন আলোচনার টেবিলে যাচ্ছেন ট্রাম্প-পুতিন তখন রাশিয়ায় নতুন করে উত্তর কোরিয়ার সেনা পাঠানো অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। পুতিন কি তবে চাইছেননা যুদ্ধ এখনই বন্ধ হোক? নাকি তিনি যুদ্ধবিরতি ঘোষণার আগেই আরও ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডের দখল নিতে চান? নাকি এটা শুধু সতর্কতার অংশ?
গত বছরের শেষ দিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, ‘রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে তিন হাজারের বেশি উত্তর কোরিয়ার সৈন্য নিহত ও আহত হয়েছে। পিয়ংইয়ং মস্কোর সেনাবাহিনীর জন্য আরও সেনা ও সরঞ্জাম পাঠাতে পারে। আমাদের এই বিষয়ে কার্যকর প্রতিক্রিয়া দেখাতে হবে।’
জেলেনস্কির আশঙ্কার মধ্যেই রাশিয়ায় উত্তর কোরিয়ার সেনা প্রেরণের খবর এলো। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তি এখনও হয়নি। তাই পুতিন এখনও তার পরিকল্পনা মাফিকই এগোচ্ছেন এবং তার সৈন্য প্রয়োজন। তিনি দখলকৃত অঞ্চলগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চাইছেন। কারণ, যুদ্ধবিরতির চুক্তি হলেও যেসব অঞ্চল ইতোমধ্যে রাশিয়া দখল করেছে সেগুলো ফেরত দেবেন না পুতিন।
মন্তব্য করুন