কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:১৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কেন খেজুর খেয়ে রোজা ভাঙা হয়?

ইফতারের অন্যতম একটি বড় অনুষঙ্গ খেজুর। ছবি : সংগৃহীত
ইফতারের অন্যতম একটি বড় অনুষঙ্গ খেজুর। ছবি : সংগৃহীত

সারাদিন রোজা রাখার পর মুসলমানদের কাছে ইফতার একটা উৎসবের মতো। আর ইফতারের অন্যতম একটি বড় অনুষঙ্গ হলো খেজুর। খেজুর দিয়ে রোজা ভাঙা রমজানের ঐতিহ্য। নির্দিষ্ট কোনো দেশে নয়, খেজুর খেয়ে রোজা ভাঙার চল বিশ্বজুড়ে। কখনো ভেবেছেন কেন রমজানের সময় খেজুর এত জনপ্রিয় হয়ে উঠে। রমজানের ইফতারে খেজুর খাওয়ার তাৎপর্য কি?

মরু অঞ্চলেই খেজুর বেশি উৎপাদিত হয়। সৌদি আরবের প্রতিনিধিত্বকারী ফলই খেজুর। আরবরা প্রধানত খেজুর ও আরবি কফি দিয়ে আপ্যায়ন করেন। খেজুরের রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন স্বাদ, আকৃতি ও রং; এর মিষ্টতায়ও রয়েছে বৈচিত্র্য। আর হাদিস মতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ও খেজুর দিয়েই ইফতার করতেন।

ফলে রমজান মাসে সুন্নত হিসেবে বিশ্বব্যাপী রোজাদাররা খেজুর খেয়ে ইফতার করেন। খেজুরের ধর্মীয় তাৎপর্য তো আছে অবশ্যই। এ ছাড়া বিশেষ কিছু পুষ্টিগুণ থাকার কারণে রোজা ভাঙার জন্য খেজুর একটি আদর্শ খাবার। খেজুরে বিদ্যমান প্রাকৃতিক মিষ্টিতে প্রধানত গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ ও সুক্রোজ আছে, যা দ্রুত রক্তে চিনির পরিমাণ বাড়িয়ে তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায়। তাই সারা দিন রোজা রাখার পর খেজুর খেলে শরীর দ্রুত সতেজ ও সবল হয়ে ওঠে।

খেজুরে প্রচুর পানি থাকে, যা সারা দিন পানি না খাওয়ার ফলে শরীরে যে ঘাটতি থাকে, তা পূরণ করে। শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখতে এবং রোজার সময় পানিশূন্যতা রোধ করে। খেজুরে বিদ্যমান চিনি সহজে পরিপাকযোগ্য। সারা দিন রোজা রাখার পর খালি পেটে খেজুর খেলে পরিপাক সহজ হয়। পাকস্থলীতেও কোনো জটিলতা তৈরি হয় না।

এ ছাড়া খেজুরে যে আঁশ থাকে, তা পরিপাক ক্ষমতা বাড়ায়, কোষ্টকাঠিন্য দূর করে। খেজুরে মেলে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট বা জারণরোধী এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বা প্রদাহরোধী উপাদান, যা শরীরের কোষগুলোকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায় এবং প্রদাহ কমায়।

ইফতারের শুরুতে খেজুর খাওয়ার পেছনে ধর্মীয় তাৎপর্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। খেজুর খেয়ে ইফতার করা সুন্নত। আর তাই রমজান মাসে খেজুরের কদর বেড়ে যায়। খেজুর না থাকলে যেন পরিপূর্ণ হয় না। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সময় থেকেই খেজুর দিয়ে ইফতারের চল। নবী (সা.) নিজে খেজুর ও পানি খেয়ে ইফতার করতেন।

মিষ্টান্ন, ফল, বিশেষত খেজুর খেয়ে ইফতার করা সুন্নত; যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে যে কোনো হালাল খাবার খেয়ে, এমনকি শুধু পানি দিয়েও ইফতার করা যায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তোমাদের কেউ রোজা রাখলে খেজুর দিয়ে যেন ইফতার করে, খেজুর না হলে পানি দিয়ে; নিশ্চয়ই পানি পবিত্র।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘কোয়ালিটি ভালো না হওয়ায় প্রশিক্ষণরত ৬ এএসপি বাদ পড়েছেন’

পদত্যাগ করেছেন কিনা জানালেন নাহিদ

অস্ট্রেলিয়ায় ভাষাশহীদদের আত্মত্যাগ স্মরণে বিএনপির বিশেষ দোয়া

বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে সাজেদুল ইসলামের উপন্যাস ‘জলকপোত’

জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে যড়যন্ত্র হচ্ছে : আমিনুল হক

ফ্যাসিস্ট সরকার আমাকে ফাঁসির রায় দিয়েছিল : পিন্টু

সেনাদের এক বছর শরণার্থী শিবিরে থাকার নির্দেশ ইসরায়েলের

অবশেষে সোনার দাম কমল 

জলদস্যুদের বিরু‌দ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হ‌বে : ফ‌রিদা আখতার

খুলনা মহানগর বিএনপির সম্মেলন / ৪৭ বছরের মধ্যে প্রথমবার ভোটে নির্বাচিত হবে নগর কমিটি

১০

সিগারেট বিক্রেতার সংখ্যা নিয়ে তামাক কোম্পানিগুলোর মিথ্যাচার, সত্য উদ্ঘাটন

১১

‘জলবায়ু সুরক্ষায়, সরকারের পাশাপাশি গণমাধ্যমের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ’

১২

ডেভিল হান্টে ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ৫৮৫ জন

১৩

ভাটি বাংলার বরপুত্র বাবরকে পথে পথে সংবর্ধনা

১৪

‘সংস্কার প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর জবাবদিহি নিশ্চিতের প্রবিধান সংযুক্ত করা হবে’

১৫

গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজাদকে নিয়ে যা বললেন সহকর্মীরা

১৬

উৎসবের আমেজে শেষ হলো কেএসআরএম ফুটবল টুর্নামেন্ট

১৭

‘দাবি আদায়ে সহিংসতা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে’

১৮

থমকে আছে মেয়র জামাল মোল্লার দুর্নীতির তদন্ত

১৯

‘যারা নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে দিয়েছিল তাদের ক্ষমা নেই’

২০
X