নাসা সম্প্রতি এক নতুন গ্রহাণু আবিষ্কার করেছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘২০২৪ওয়াইআর৪’। গত বছর ২৭ ডিসেম্বর গ্রহাণুটি বিজ্ঞানীদের চোখে প্রথম পড়ে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই গ্রহাণু ক্রমশ পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসছে এবং ২০৩২ সালে এটি পৃথিবীতে আছড়ে পড়তে পারে। তবে এর বিপদ ঘটার সম্ভাবনা খুবই কম, প্রায় ৩ দশমিক ১ শতাংশ। তবুও বিজ্ঞানীরা একে পুরোপুরি উড়িয়ে দেননি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি এই গ্রহাণু পৃথিবীতে আছড়ে পড়ে, তবে গোটা একটি শহর নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে। নাসা জানায়, গ্রহাণুটির গতিপথ পূর্ব প্রশান্তমহাসাগরীয় এলাকা, দক্ষিণ আমেরিকার উত্তর অংশ, আফ্রিকা, আরব সাগর ও দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে বিস্তৃত।
গ্রহাণুটির আকার আনুমানিক ১৩০-৩০০ ফুট চওড়া, যা বিশাল। বিজ্ঞানীদের মতে, এটি পৃথিবীর কাছাকাছি আসার আগেই মাঝপথে ফেটে যেতে পারে, যার ফলে ৮ মেগাটন টিএনটি বিস্ফোরণের সমান শক্তি উৎপন্ন হবে। এই শক্তি এতটাই বিপুল যে এটি একটি শহরকে নিশ্চিহ্ন করতে পারে। বিজ্ঞানীরা একে ‘সিটি-কিলার’ বলে অভিহিত করেছেন।
তবে নাসা আশাবাদী, কারণ এরকম অনেক মহাজাগতিক বস্তু আগে পৃথিবীকে বিপদে ফেলতে চেয়েছিল, কিন্তু পরবর্তী সময়ে সেগুলো বিপদ তৈরি করতে পারেনি। গ্রহাণুটিকে প্রথমে ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্টেরয়েড ওয়ার্নিং নেটওয়ার্ক’-এর দূরবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে দেখা যাবে এপ্রিল মাস পর্যন্ত, তারপর এটি দৃষ্টির বাইরে চলে যাবে এবং ২০২৮ সালে আবার দেখা যাবে।
তথ্য: আনন্দবাজার, টাইমস অব ইন্ডিয়া।
মন্তব্য করুন