মালিক মালদ্বীপে বেড়াতে যাওয়ার আগে কুকুরটিকে একটি আশ্রয়কেন্দ্রে রেখে যান। গত ২৯ জানুয়ারি এটি সেখান থেকে পালিয়ে যায়। মূলত চীনা নববর্ষের আতশবাজির শব্দে ভয় পেয়ে পালায় কুকুরটি। সেই কুকুর রাস্তায় পেয়ে ধরে রান্না করে খেয়ে ফেলেন শ্রমিকরা।
পরবর্তীতে কুকুরটির মালিক দেশে ফিরে সন্ধান চেয়ে ৮ লাখ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেন। তিনি জানতেন না তার আদরের কুকুরকে রান্না করে খেয়ে ফেলেছেন অন্যরা। সম্প্রতি চীনের শেনজেন প্রদেশে ঘটনাটি ঘটেছে। এটি প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
কুকুরটি পালিয়ে যাওয়ার পর একটি মহাসড়কে একা একা হাঁটছিল। ওই সময় তাকে গাড়ি ধাক্কা দেয়। তখন কুকুরটি রাস্তার পাশে আহত অবস্থায় পড়ে থাকে। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গেছে, হাইওয়ে পেট্রলের দুজন কর্মকর্তা কুকুরটিকে নিজেদের গাড়িতে তুলছেন। পরবর্তীতে তারা কুকুরকে তাদের কোম্পানির রান্নাঘরে নিয়ে যান। সেখানে রান্না করে আটজনে মিলে খেয়ে ফেলেন পোষা কুকুরটি।
ওই হাইওয়ে কোম্পানি ও ট্রাফিক পুলিশ এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। এছাড়া কোম্পানিটির মালিকও স্বীকার করেছেন তার কর্মীরা কুকুর রান্না করে খেয়েছেন। হাইওয়ে কোম্পানিটির মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাদের কর্মীরা ভেবেছিলেন এটি একটি বেওয়ারিশ কুকুর। এছাড়া গাড়ির ধাক্কায় এটি মারা গিয়েছিল বলেও দাবি করেন তারা। নিয়ম অনুযায়ী, কুকুরটির মরদেহের ছবি কোম্পানির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছিলেন কর্মীরা।
এদিকে যে রান্নাঘরে কুকুরটিকে রান্না করা হয়েছিল এবং যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের সবার বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে। কুকুরটির মালিক জানিয়েছেন, তিনি এ ঘটনায় মামলা করবেন। ২০২০ সাল থেকে শেনজেনে বিড়াল কিংবা কুকুর খাওয়া নিষিদ্ধ। আইন না মানলে মোটা অঙ্কের জরিমানাও হতে পারে।
মন্তব্য করুন