টিস্যু দিয়ে ভেজা টয়লেট সিট না মোছার পরামর্শ দিচ্ছে একটি জাপানি কোম্পানি। এ আহ্বান জানিয়ে তারা একটি ঘোষণাও প্রচার করেছে। কিন্তু কেন?
এনডিটিভি স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাতে জানিয়েছে, টয়লেটের আসন নির্মাতা শীর্ষস্থানীয় জাপানি কোম্পানি টোটো টয়লেটের আসন পরিষ্কার করার বিষয়ে একটি ঘোষণা জারি করেছে। তারা ব্যবহারকারীদের টয়লেট টিস্যু দিয়ে তাদের আসন মোছা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
একটি পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পরে নির্দেশনাটি প্রচারে বাধ্য হয় কোম্পানি। একজন ব্যবহারকারী ওই পোস্টে দুঃখ প্রকাশ করে অভিযোগ করেন, টোটো কোম্পানির বানানো তাদের নতুন সিট টয়লেট পেপার দিয়ে মোছায় স্ক্র্যাচ পড়েছে। অভিযোগকারী পরামর্শ দিয়েছেন, আসনটি আরও টেকসই উপকরণ থেকে তৈরি করা উচিত। যাতে আসনটি এত সহজে নষ্ট না হয়।
পোস্টটির প্রতিক্রিয়ায় টোটোর একজন মুখপাত্র বলেন, আমাদের ‘ওয়াশলেট টয়লেট’ প্লাস্টিকের রেজিন থেকে তৈরি। আমরা বর্তমান যে রেজিন ব্যবহার করি তা ডিটারজেন্টের প্রতিরোধ এবং জটিল আকারে ঢালাই সহ্য করার ক্ষমতার বিবেচনা করে বানানো হয়।
তিনি আরও বলেন, টয়লেট পেপার বা শুকনো কাপড় দিয়ে সিট মুছলে ক্ষুদ্র, অদৃশ্য স্ক্র্যাচ হতে পারে। যেখানে ময়লা জমতে পারে। এতে সিটটি দিন দিন বিবর্ণ হয়ে যেতে পারে। টয়লেট সিটের জন্য কেন আরও টেকসই উপাদান ব্যবহার করা যায় না; তা জানতে চাইলে টোটো বলে, বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিকের রেজিন রয়েছে এবং প্রতিটি প্রস্তুতকারক গুণমান, নিরাপত্তা এবং অন্যান্য কারণ বিশেষ করে দামের ওপর ভিত্তি করে একটি বেছে নেয়। টোটোও তাই করেছে।
টোটোর ফ্ল্যাগশিপ টয়লেট কমোডটিতে স্বয়ংক্রিয় ঢাকনা, এয়ার ড্রায়ার এবং পানির চাপ নিয়ন্ত্রণের মতো বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন কমোডগুলোর মধ্যে একটি। সংস্থাটি বলেছে, বর্তমানে তাদের টয়লেট সিটের উপাদান পরিবর্তন করার কোনো পরিকল্পনা নেই।
প্রসঙ্গত, টোটো ছাড়াও লাইফস্টাইল বিশেষজ্ঞরাও এ ধরনের পরামর্শ দেন। তাদের মতে, শুকনো টয়লেট পেপারের পরিবর্তে টয়লেট সিট পরিষ্কার করার জন্য পানিতে ভেজানো নরম কাপড় ব্যবহার করা যেতে পারে। অথবা ডিটারজেন্ট ব্যবহার করে পরিষ্কার করা যেতে পারে। সিট পরিষ্কার থাকলে তা সহজে শুকাবে। তবে কোনো অবস্থাতেই পাতলা, ধাতব স্ক্রাবার নাইলন বা টয়লেট সিটের পৃষ্ঠকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এমন অন্য কোনো বস্তু দিয়ে সিট ঘষা যাবে না। এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন লাইফস্টাইল বিশেষজ্ঞরা।
মন্তব্য করুন