ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান মিস ইউনিভার্স অরগানাইজেশন। মিস ইউনিভার্স ইন্দোনেশিয়ার বেশ কয়েকজন প্রতিযোগী পুলিশি যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন। এরপর দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেন আয়োজকরা। খবর এএফপির।
জাকার্তায় গত ২৯ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরী প্রতিযোগিতার নানা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় প্রতিনিধিত্ব করার জন্য মিস ইন্দোনেশিয়া নির্বাচন করা হয়। তবে মিস ইউনিভার্স ইন্দোনেশিয়ার ১২ জনের বেশি প্রতিযোগী অভিযোগ করেছেন, প্রতিযোগিতার সময় তারা যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। চূড়ান্ত পর্বের ৩০ জন প্রতিযোগীর সবাইকে অপ্রত্যাশিতভাবে তাদের অন্তর্বাস খুলতে বলা হয়েছিল। শারীরিক পরীক্ষার নামে তাদের এমনটা করতে বলেছিলেন বলে অভিযোগ।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মিস ইউনিভার্স অরগানাইজেশন গত শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (আগে টুইটার নামে পরিচিত ছিল) একটি বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মিস ইউনিভার্স ইন্দোনেশিয়ায় যা হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি, তাতে এটা পরিষ্কার যে এ আয়োজকরা আমাদের ব্র্যান্ডের মানদণ্ড, নীতিমালা ও প্রত্যাশা অনুযায়ী চলছে না। মিস ইউনিভার্স অরগানাইজেশন ইন্দোনেশিয়ায় বর্তমান আয়োজকদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
মিস ইউনিভার্স অরগানাইজেশনের দাবি, নারীদের জন্য নিরাপদ জায়গা নিশ্চিত করাকে তারা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। প্রতিযোগীদের সাহসিকতারও প্রশংসা করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
ইন্দোনেশিয়ার এ আয়োজকদের মালয়েশিয়ায় মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা পরিচালনার লাইসেন্স দেওয়া ছিল। সে কারণে এ বছর মালয়েশিয়ায়ও মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ায় দীর্ঘদিন ধরেই সুন্দরী প্রতিযোগিতার আয়োজন হয়ে আসছে। কিন্তু আয়োজকরা মুসলিমপ্রধান দেশটির রক্ষণশীল সমাজব্যবস্থায় যাতে আঘাত না লাগে সব সময় সেই চেষ্টা করেন। যে কারণে, ২০১৩ সালে মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় বিকিনি রাউন্ড বাতিল করা হয়।
মন্তব্য করুন