বর্তমানে বহুল আলোচিত প্রজন্ম জেনারেশন জেড বা জেন-জি। ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত জন্ম নেওয়া প্রজন্মকে বলা হচ্ছে জেন-জি। বর্তমান উন্নত প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের সবচেয়ে বৃহৎ ভোক্তা এই প্রজন্ম।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে বিশ্বজুড়ে নিজেদের জাত চেনাতে বেশ এগিয়ে আছে এই প্রজন্ম। এমনকি ভাব-ভালোবাসা বিনিময়েও চিঠিপত্রের পরিবর্তে ইন্টারনেটের ওপর নির্ভর করে থাকে জেন-জিরা।
শুধু তাই নয় ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে আলাপেও প্রচলিত শব্দের বিপরীতে নিজেদের বিশেষ কিছু শব্দ ব্যবহার করে থাকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেসব শব্দগুলো, যা জেন-জিদের কাছে রীতিমতো ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে।
প্রিয়জনের খোঁজ নেওয়ার জন্য ফোনে টেক্সট করা বর্তমানে একটি জনপ্রিয় উপায়। প্রেম-ভালোবাসা এসব মুহূর্তগুলোকে আরও আনন্দময় করার জন্য নতুন নতুন শব্দ ব্যবহার করে আসছে জেন-জিরা। যার মধ্যে একটি হলো ফেক্সটিং। ফেক্সটিংয়ের দ্বারা বোঝানো হয় ফাইটিং ওভার টেক্সট অর্থাৎ লেখার মাধ্যমে মান-অভিমান, অভিযোগ-অনুযোগ করা। জেন-জিরা মুখোমুখি ঝগড়া না করে লিখত বার্তা ও বিভিন্ন ইমোজির মাধ্যমে ফেক্সটিং করে থাকে।
ধরুন কেউ সকালে উঠেই তার ফোনে ঢুঁ মেরে দেখল সারা রাত কথা বলা প্রেমিক কিংবা প্রেমিকা আড়মোড়া ভাঙার ইমোজি পাঠিয়েছে। সেটি যেন ইঙ্গিত দিচ্ছে এক উষ্ণ আলিঙ্গনের। এই শব্দগুলোকে জেন-জিদের ভাষায় বলা হচ্ছে, ন্যানো- শিপস। সাধারণত এগুলোই অনলাইনের দুনিয়া থেকে সম্পর্কটাকে বড় পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে।
ডেটিং অ্যাপ বাম্বলের এক জরিপ জানায়, জেন-জিরা এখন খুব কমই একটা সম্পর্ককে সারা জীবন টিকিয়ে রাখার চাপ নিতে চান। বরং এরা স্বল্পস্থায়ী অথচ অর্থপূর্ণ, এ রকম ছোট ছোট সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে থাকে। যেমন ধরুন, কারো সঙ্গে আপনার খুব ভালো একটা সময় কাটল, কিন্তু এর মানে এই না আপনি তার সঙ্গে আজীবন থাকার ইচ্ছা পোষণ করবেন। ঠিক এই ধারণা থেকেই এসেছে মাইক্রো-ম্যানস ম্যানিয়া শব্দটি।
বর্তমানে নিজের প্রেমিক-প্রেমিকাকে আড়াল করতেই পছন্দ করে তরুণ প্রজন্ম। এরা সাধারণত নিজেদের কোনো ছবি সরাসরি সামাজি যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে না। সেখানে দেখা যায়, সঙ্গীর ছবি কিংবা চেহারা ঝাপসা করে দেওয়া হচ্ছে। অনেকটাই রহস্য রেখে দিতেই পছন্দ করেন এরা। যাকে জেন-জিদের ভাষায় বলা হচ্ছে, সফট লঞ্চ। ঠিক যেন অনেকটাই সিনেমার পোস্টার, টিজার, ট্রেলারের মতো ব্যাপার। যার রহস্য রেখে দিতেই পছন্দ করেন এরা।
প্রেম এখন আর একই অঞ্চল, দেশ কিংবা শহরের গণ্ডির মধ্যে আটকে নেই। দেশের সীমানা পেরিয়ে এদের প্রেমের গণ্ডি ছড়িয়ে পড়েছে ভিন্ন দেশের মানুষের সঙ্গেও। ভিন্ন দেশ, ভিন্ন সংস্কৃতির আন্তর্জাতিক প্রেমই যেন এখন ট্রেন্ডে আছে। যাকে বলা হয়, ইন্টারন্যাশনাল ডেটিং।
মন্তব্য করুন