কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৭ পিএম
আপডেট : ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কেন উদ্ধার হচ্ছে না টাইটানিক, কী অদৃশ্য শক্তি রয়েছে গভীরে?

সাগরের তলদেশে জাহাজের ধ্বংসাবশেষ। ছবি : সংগৃহীত
সাগরের তলদেশে জাহাজের ধ্বংসাবশেষ। ছবি : সংগৃহীত

সাগরের এক অমীমাংসিত রহস্য টাইটানিক। যাকে ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে ইতিহাস, লেখা হয়েছে গল্প, তৈরি হয়েছে সিনেমাও। কিন্তু সাগরের গভীরে ডুবে যাওয়ার ১০০ বছর পরও টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ তোলা যায়নি এখনো। কী এমন অদৃশ্য শক্তি রয়েছে এর গভীরে? যাকে পরাস্ত করে তুলে আনা যাচ্ছে না দানবীয় সেই জাহাজটিকে।

১৯১১ সালের ৩১ মে টাইটানিক প্রথম সমুদ্রে ভাসানো হয়। আর সে দৃশ্য দেখতে সেই সময় প্রায় ১ লাখ মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। এর এক বছর পর ১৯১২ সালের ১০ এপ্রিল ক্যাপ্টেন অ্যাডওয়ার্ড জন স্মিথের নেতৃত্বে সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল টাইটানিক। তার ঠিক চার দিন পর ১৫ এপ্রিল আটলান্টিক মহাসাগরে রহস্যজনকভাবে ডুবে যায় টাইটানিক। আর এ দুর্ঘটানায় জাহাজের ক্রু ও যাত্রীসহ প্রাণ হারায় প্রায় ১৫শ জন। ইতিহাসে একই সাথে এত প্রাণহানী বিরল ঘটনা। জাহাজটি আশ্চর্যজনকভাবে ডুবে যাওয়ার পেরিয়েছে ১১২ বছর, আজ পর্যন্ত একে ঘিরে মানুষের আগ্রহ এতটুকু কমেনি। কীভাবে ডুবেছে, কেনো ডুবেছে? তা হয়তো এখন আর রহস্য নেই। তবে প্রশ্ন থেকে যায় টাইটেনিক ডুবে যাওয়ার এত বছর পেরোলেও কেন সমুদ্র থেকে আজও তোলা যায়নি জাহাজটিকে।

‘টাইটানিক ইজ আনসিংকেবল’ অর্থাৎ টাইটানিক কখনো ডুববে না। সেই টাইটানিক ডুবে যায় প্রথম যাত্রাতেই। জেমস ক্যামেরুনের ‘টাইটানিক’ সিনেমার পরে টাইটানিক পরিচিতি পায় এক ভিন্ন রূপে। সেই ডুবে যাওয়ার দৃশ্য দেখে কাঁদেনি এমন লোকও খুঁজে পাওয়া যাবে না। টাইটানিক ডুবার ৭৩ বছর পর্যন্ত কেউ জানতোই না জাহাজটি কোথায় আছে, আর কী অবস্থায় আছে। ১৯৮৫ সালে রবার্ট বালার্ড নামক ফরাসি বিজ্ঞানী টাইটানিককে খুঁজে বের করেন। জাহাজটি খুঁজে পাওয়ার পর অনেক রহস্যের উন্মোচন হয়। আনসিংকেবল টাইটানিক এখন সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১২ হাজার ৬০০ ফুট নিচে আটলান্টিকের তলদেশে স্থির হয়ে আছে।

তবে জাহাজটি খুঁজে পাওয়ার ৩৯ বছর পার হলেও এটিকে সমুদ্র থেকে বের করে আনা সম্ভব হয়নি। টাইটানিক সমুদ্র থেকে তুলতে অনেক রকম চেষ্টা চালানো হয়। সাধারণ পদ্ধতিতে সমুদ্রের নিচ থেকে যেভাবে জাহাজ বের করে আনা হয়, টাইটানিক সেভাবে বের করা সম্ভব নয়। কেননা টাইটানিক দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। টাইটানিক বের করে আনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্য যেটি, সেটি হলো টাইটানিকের ওজন, যা প্রায় ১ লক্ষ ৪৩ হাজার টন। যা তোলার মতো শক্তিশালী ম্যাগনেট পৃথিবীতে নেই।

বিজ্ঞানীরা বলছে- পানি আর বরফের প্রকোপে ডুবে থাকা টাইটানিক ধীরে ধীরে ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে। তারা মনে করে টাইটানিকের অবস্থা যদি এইভাবে চলতে থাকে তাহলে আগামী ৫০ বছরের মধ্যে টাইটানিক সাগরের বুকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নাইকো মামলায় আরও সাতজনের সাক্ষ্য গ্রহণ

জোড়াতালি দিয়ে চলছে বিসিবি: আসিফ মাহমুদ

আদালত থেকে আসামি পালানোর ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত

ইজতেমার দুই পর্বের তারিখ চূড়ান্ত

বগুড়ায় নবান্নে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা

ঢাকা উত্তর বিএনপির আরেক নেতা বহিষ্কার

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়ল

জানা গেল নভেম্বরের ১৬ দিনে কত রেমিট্যান্স এলো

সেন্টমার্টিন নিয়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

অন্তর্বর্তী সরকারকে পূর্ণ সমর্থন যুক্তরাজ্যের

১০

‘ভাসানীর জন্ম না হলে আমরা বাংলাদেশের নাগরিক হতাম না’

১১

‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচনের সময়সীমা বেঁধে দিচ্ছি না’

১২

ইসলামপুরে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

১৩

ইচ্ছে আছে কিন্তু বেশি আশা নেই, আইপিএল প্রসঙ্গে রিশাদ

১৪

জান্নাতের ৪টি নদী যেগুলো পৃথিবীতে বহমান

১৫

শামীম মাহবুব ভূঁইয়ার মৃত্যুতে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির শোক

১৬

ফুরিয়ে আসছে স্মার্টফোনের দিন, কবে আর কেন জানালেন জাকারবার্গ

১৭

অক্টোবরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা জানাল বিআরটিএ

১৮

‘পারফরম্যান্স করতে না পারলে দাবি তুলব, নির্বাচন দিয়ে সরে যান’

১৯

চাপে ফেলতে চাইছেন ট্রাম্প, মাথা নোয়াবে না ইরান

২০
X