আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে শুরু হয়েছে জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৯ (কনফারেন্স অব পার্টিজ)। এবারের সম্মেলনের মূল লক্ষ্য, জলবায়ু সংকটের ভুক্তভোগী দরিদ্র দেশগুলোকে আরও অর্থসহায়তা দেওয়ার পথ খুঁজে বের করা।
সোমবার (১১ নভেম্বর) থেকে শুরু হয়ে এই সম্মেলন চলবে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত।
এ আসরে ৭০ হাজারের বেশি প্রতিনিধিসহ প্রায় ২০০ দেশের শীর্ষস্থানীয় নেতারা একত্র হবেন। জলবায়ু সংকট সমাধানে উৎসাহ দিতে সম্মেলন শুরুতে সংস্থাটির সদস্য দেশগুলোর প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রীরা যোগ দিয়ে থাকেন। তবে এবার বড় কয়েকটি অর্থনীতি এবং সর্বাধিক কার্বন নিঃসরণকারী দেশের শীর্ষস্থানীয় নেতারা উপস্থিত থাকছেন না এ সম্মেলনে। যাদের মধ্যে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এদিকে সম্মেলনে বাংলাদেশ থেকে যোগ দেবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এবার প্রথমবারের মতো সম্মেলনে আমন্ত্রণ পেয়েছে আফগানিস্তানের তালেবান সরকার। এ সম্মেলনে জলবায়ু সংকটের পাশাপাশি ইউক্রেন ও গাজায় চলমান যুদ্ধ এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট নিয়েও আলোচনা করবেন নেতারা।
এবারের কপ-২৯ সম্মেলনে আলোচনার মূল বিষয় হলো অর্থ। ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তির অনুযায়ী বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২০৩০ সালের মধ্যে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিশ্বনেতারা। এ লক্ষ্যে কার্বন নিঃসরণ কমাতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি সামলাতে ২০২৫ সাল নাগাদ উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থসহায়তা দিতে রাজি হলেও এখন পর্যন্ত সেই সহায়তার পরিমাণ সন্তোষজনক নয়। আর উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় থাকা বিপুল পরিমাণ কার্বন নিঃসরণকারী চীন ও উপসাগরীয় দেশগুলো এই সহায়তা তহবিলে অর্থ দিচ্ছে না।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের বার্ষিক এই জলবায়ু সম্মেলন ‘কপ’ নামে পরিচিত। এর পূর্ণ রূপ ‘কনফারেন্স অব পার্টিস’। এবার বাকুতে কপের ২৯তম আসর বসেছে। ১৯৯২ সালে জাতিসংঘের ‘ইউনাইটেড নেশনস ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ’ চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী প্রায় ২০০ দেশ কপের সদস্য। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব সামাল দিতে প্রতিবছর সদস্যদেশগুলোর প্রতিনিধিরা একত্র হন।
মন্তব্য করুন