কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:১৪ এএম
অনলাইন সংস্করণ

ফ্যাক্টরিতে যেভাবে বিমান তৈরি হয়

বিমান নির্মাণের একটি ফ্যাক্টরি। ছবি : সংগৃহীত
বিমান নির্মাণের একটি ফ্যাক্টরি। ছবি : সংগৃহীত

দূরবর্তী কোন দেশ কিংবা কোনো শহরে যেতে বিমানের বিকল্প নেই। আকাশ যাত্রা মানুষের যাতায়াতকে সহজ ও আরামদায়ক করে তোলে। অনেকের মনেই প্রশ্ন তৈরি হতে পারে- বিশালদেহী এসব আকাশযান কীভাবে তৈরি করা হয়।

প্রতিটি বিমান তৈরির সূচনা হয় একটি প্রাথমিক নকশা থেকে। সেখানে মূলত বিমানটির আকার-আকৃতি, ককপিট, যাত্রীদের বসার জায়গা, ইঞ্জিন সবকিছু বিস্তারিত বলা হয়ে থাকে। পরবর্তীতে বিভিন্ন সফটওয়্যারের মাধ্যমে এই ডিজাইনগুলোর একটি ত্রিমাত্রিক মডেলে রূপান্তর করা হয়। তৈরি এই মডেলটি দিয়েই বিমানের বিভিন্ন অংশের আকার-আকৃতি, অবস্থান নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।

পরের ধাপে আসে বিমানের বডি তৈরির উপকরণ সংগ্রহ করার পালা। বিমান তৈরির জন্য বিভিন্ন ধরনের উপকরণ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে আছে অ্যালুমিনিয়াম, টাইটানিয়াম, কার্বন ফাইবার ইত্যাদি। বিমান তৈরিতে ব্যবহার করা এসব উপকরণ সাধারণত বেশ হালকা, তবে প্রচণ্ড শক্তিশালী হওয়ায় এসবকেই বেছে নেন প্রকৌশলীরা।

বলা হয়ে থাকে, কার্বন ব্যবহারের ফলে বিমানের ওজন কমে যায় এবং এর গতিবেগ বৃদ্ধি পায়। এছাড়া বিমান তৈরিতে কাচ, রাবার ও প্লাস্টিকেরও ব্যবহার হয়ে থাকে। আর এসব উপকরণ বিভিন্ন উৎস থেকে সংগ্রহ করে পরবর্তীতে ফ্যাক্টরিতে নিয়ে আসা হয়।

জানা যায়, এসব সংগ্রহ করা উপাদান দিয়ে সর্বপ্রথম বিমানের কাঠামো তৈরি করার কাজে নেমে পড়ে নির্মাণকর্মীরা। আর এই কাজগুলো মূলত সম্পন্ন করা হয় বিশাল আকৃতির মেশিন দ্বারা। বিমান তৈরির ক্ষেত্রে প্রথমেই বিমানের বড় বড় অংশগুলো তৈরি করা হয়ে থাকে।

এসব কাঠামো তৈরি করা হয়ে গেলে তাতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ, ইঞ্জিন সংযুক্ত করা হয়। এসব কাজ চূড়ান্ত হলে বিমানকে বিভিন্ন ধরনের পেইন্ট করে সজ্জিত করা হয়ে থাকে। এসব কাজ শেষ হলে এতে যাত্রীদের আসন বসানোর কাজ করা হয় এবং এর মাধ্যমেই বিমান তৈরির কাজ সম্পন্ন করে তা রানওয়েতে নিয়ে আসা হয়। সেখানে বিমানটিকে সর্বশেষ পরীক্ষা করে প্রস্তুত করা হয় উড্ডয়নের জন্য।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সরকারি চালসহ কৃষকদল নেতা ধরা, দল থেকে বহিষ্কার

ঢাবি ছাত্রদল সভাপতির এই মানসিকতাকে স্বাগত জানাই : হাসনাত

জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে ঢাবি ছাত্রদল সভাপতির ‘তথাকথিত আন্দোলন’ আখ্যা, শিবিরের নিন্দা 

‘মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে ট্রেনিং-রিসার্চকে গুরুত্ব দিতে হবে’

কাতার পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

কৃষক ভবেশের মৃত্যুর ৪ দিন পর হত্যা মামলা

কুষ্টিয়া সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার নির্বাচনে নতুন নেতৃত্ব

জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি মডেল ইউনাইটেড নেশনস অ্যাসোসিয়েশনের ১০ বছর পূর্তি

ছাত্রলীগ কর্মীকে পিটিয়ে রিকশায় ঘোরানো ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা

নারায়ণগঞ্জে চাঞ্চল্যকর সোহান হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

১০

আ.লীগের হাতে গত ১৫ বছর আলেম সমাজ লাঞ্ছিত হয়েছে : রহমাতুল্লাহ

১১

চট্টগ্রামে পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা এবার বসলেন আমরণ অনশনে

১২

বগুড়ায় ৫ ইউএনওর মোবাইল নম্বর ক্লোন করে চাঁদা দাবি

১৩

৩ মিনিটের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড ফরিদপুর

১৪

ইরান নিয়ে ইসরায়েলের সামনে এখন ‘প্ল্যান বি’

১৫

আ.লীগের মিছিলের প্রস্তুতির সময় বিএনপি নেতার ছেলে গ্রেপ্তার

১৬

১০০ আসনে নারীদের সরাসরি নির্বাচন চায় এনসিপি

১৭

সরিয়ে দেওয়া হলো স্বাস্থ্য উপদেষ্টার এপিএসকেও

১৮

রেকর্ড ভেঙে সোনার দামে নতুন ইতিহাস

১৯

আরেক দেশকে নিয়ে ‘বিশাল যুদ্ধ মহড়ায়’ যুক্তরাষ্ট্র

২০
X