দূরবর্তী কোন দেশ কিংবা কোনো শহরে যেতে বিমানের বিকল্প নেই। আকাশ যাত্রা মানুষের যাতায়াতকে সহজ ও আরামদায়ক করে তোলে। অনেকের মনেই প্রশ্ন তৈরি হতে পারে- বিশালদেহী এসব আকাশযান কীভাবে তৈরি করা হয়।
প্রতিটি বিমান তৈরির সূচনা হয় একটি প্রাথমিক নকশা থেকে। সেখানে মূলত বিমানটির আকার-আকৃতি, ককপিট, যাত্রীদের বসার জায়গা, ইঞ্জিন সবকিছু বিস্তারিত বলা হয়ে থাকে। পরবর্তীতে বিভিন্ন সফটওয়্যারের মাধ্যমে এই ডিজাইনগুলোর একটি ত্রিমাত্রিক মডেলে রূপান্তর করা হয়। তৈরি এই মডেলটি দিয়েই বিমানের বিভিন্ন অংশের আকার-আকৃতি, অবস্থান নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।
পরের ধাপে আসে বিমানের বডি তৈরির উপকরণ সংগ্রহ করার পালা। বিমান তৈরির জন্য বিভিন্ন ধরনের উপকরণ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে আছে অ্যালুমিনিয়াম, টাইটানিয়াম, কার্বন ফাইবার ইত্যাদি। বিমান তৈরিতে ব্যবহার করা এসব উপকরণ সাধারণত বেশ হালকা, তবে প্রচণ্ড শক্তিশালী হওয়ায় এসবকেই বেছে নেন প্রকৌশলীরা।
বলা হয়ে থাকে, কার্বন ব্যবহারের ফলে বিমানের ওজন কমে যায় এবং এর গতিবেগ বৃদ্ধি পায়। এছাড়া বিমান তৈরিতে কাচ, রাবার ও প্লাস্টিকেরও ব্যবহার হয়ে থাকে। আর এসব উপকরণ বিভিন্ন উৎস থেকে সংগ্রহ করে পরবর্তীতে ফ্যাক্টরিতে নিয়ে আসা হয়।
জানা যায়, এসব সংগ্রহ করা উপাদান দিয়ে সর্বপ্রথম বিমানের কাঠামো তৈরি করার কাজে নেমে পড়ে নির্মাণকর্মীরা। আর এই কাজগুলো মূলত সম্পন্ন করা হয় বিশাল আকৃতির মেশিন দ্বারা। বিমান তৈরির ক্ষেত্রে প্রথমেই বিমানের বড় বড় অংশগুলো তৈরি করা হয়ে থাকে।
এসব কাঠামো তৈরি করা হয়ে গেলে তাতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ, ইঞ্জিন সংযুক্ত করা হয়। এসব কাজ চূড়ান্ত হলে বিমানকে বিভিন্ন ধরনের পেইন্ট করে সজ্জিত করা হয়ে থাকে। এসব কাজ শেষ হলে এতে যাত্রীদের আসন বসানোর কাজ করা হয় এবং এর মাধ্যমেই বিমান তৈরির কাজ সম্পন্ন করে তা রানওয়েতে নিয়ে আসা হয়। সেখানে বিমানটিকে সর্বশেষ পরীক্ষা করে প্রস্তুত করা হয় উড্ডয়নের জন্য।
মন্তব্য করুন