আমাদের জীবনযাপনে অনেকেরই গুনতে হয় লাখ লাখ টাকা। আবার এমনও অনেক পরিবার আছে যাদের সাধারণ জীবনযাপনে হিমশিম খেতে হয়। যেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অভাবে ভুগছে অনেকেই সেখানে নিজের পরিবারের জন্য এক টুকরো জমি কিনে বাড়ি করা কিংবা নিজের ফ্ল্যাট কেনাটা যেন বামুন হয়ে চাঁদে হাত বাড়ানোর মতোই।
পৃথিবীতে দারিদ্র্য নিয়ে অনেক নির্মম ঘটনার সাক্ষীই হয়েছে অনেকে। তবে অর্থের অভাবে মাথা গোঁজার ঠাঁই পাবার জন্য কি কাউকে কখনো খাঁচায় থাকার কথা শুনেছি আমরা? এমন নির্মম ঘটনাই খুব স্বাভাবিক ঘটনার একটি হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত একটি দেশে। জানা গেছে, দেশটির হতদরিদ্ররা অর্থের অভাবে নিজেদের বাসস্থানের জন্য বেছে নিয়েছেন খাঁচা!
আধুনিক যুগেও এমনটাই ঘটছে এশিয়ার অন্যতম সম্পদশালী দেশ চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হংকংয়ে। এশিয়ায় বহুতল অট্টালিকার যে কয়েকটি শহর রয়েছে তার মধ্যে এটি অন্যতম।
বিলাসী জীবনযাপনের জন্য পরিচিত হংকংয়েই মানুষ বাধ্য হয়ে একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই পেতে বেছে নিয়েছে এমন বাসস্থান। খাঁচায় বাস করা এদের প্রতিটি খাঁচার জন্য মাসে ভাড়া দিতে হয় এক হাজার আটশ থেকে দুই হাজার চারশ হংকং ডলার। এতে করে নিম্ন আয়ের মানুষদের জীবনযাপন বেশ জটিল হয়ে পড়ছে।
সাধারণত একটি বহুতল ভবনের প্রতিটি ফ্ল্যাটে অনেকগুলো খাঁচা থাকে। প্রতিটি খাঁচায় থাকেন একজন মানুষ। খাঁচার বাসিন্দা যতই হোক না কেন দুটি শৌচাগার দিয়ে কাজ সারতে হয়। এক কথায়, অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করতে হয় তাদের। খাঁচার বাসিন্দারা এ নিয়ে জানায়, খাঁচাতে বাস মানে তাদের জন্য কফিনে ঢুকে মৃত্যুর অপেক্ষা করা।
মন্তব্য করুন