কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২৪, ০১:৪৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বিশ্বের অন্যান্য দেশে কোটার যে হাল

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ও বিভিন্ন সম্প্রদায়কে মূলধারার সঙ্গে এগিয়ে নিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরকারি চাকরি ও পড়াশোনায় বরাদ্দ রাখা হয় বিভিন্ন কোটা। তেমনি বাংলাদেশেও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনিসহ বিভিন্ন গোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দ রয়েছে একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কোটা। অন্যান্য দেশে সময় ও পরিস্থিতির আলোকে নিয়মিত সংস্কার করা হয় কোটা ব্যবস্থা, তবে সব দেশেই প্রধান্য দেয়া হয় মেধাবীদের। জেনে নেওয়া যাক বিশ্বের কোন দেশে কত শতাংশ কোটা বরাদ্দ রয়েছে।

ভারত

জনসংখ্যায় পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ ভারত। এ দেশে মোট চার ধরনের কোটা রয়েছে। ভারতের মোট ৪৯ দশমিক ৫ শতাংশ কোটা আছে। তবে সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা প্রদেশভেদে ভিন্ন। দেশটিতে একটি পরিবারে শুধু একজনই এই কোটা ব্যবহার করতে পারবে এবং উচ্চশিক্ষায় কোটার ব্যবহার করা হলে চাকরিতে সেই ব্যক্তি আর কোটা ব্যবহার করতে পারবে না।

নেপাল

নেপালের সরকারি চাকরিতে কোটা দুই ভাগে করা আছে। একটি ৫৫ শতাংশ সাধারণ কোটা এবং অন্যটি ৪৫ শতাংশ সংরক্ষিত কোটা। সংরক্ষিত কোটার মধ্যে নারী, উপজাতি, মধেশি, দলিত সম্প্রদায়, প্রতিবন্ধী এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে রাখা হয়েছে।

পাকিস্তান ও মালয়েশিয়া

পাকিস্তানে কোটা পদ্ধতি চালু আছে বিভিন্ন অঞ্চলের জনসংখ্যার ওপর ভিত্তি করে। দেশটিতে কোটা পদ্ধতির মূল কারণ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সব অঞ্চলের মানুষ যেন সমানভাবে অংশ নিতে পারেন। মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে জাতিগত কোটার মোট ৫৫ শতাংশ সুবিধা পেয়ে থাকে মালয় জনগোষ্ঠী। অন্যান্য ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ সুবিধা ভোগ করে মালয় জনগোষ্ঠী আর বাকি ৪০ শতাংশ ভোগ করে অন্যান্য জনগোষ্ঠী।

কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন

কানাডায় বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায়, সংখ্যালঘু, নারী এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য সরকারি চাকরিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার ক্ষেত্রে বিশেষ কোটা থাকলেও তা নির্দিষ্ট নয়। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে শুধু শতকরা ৮ ভাগ চাকরি প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষিত থাকে। নারীর ক্ষমতায়নে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো ২০১২ সালে এক পরিকল্পনা গ্রহণ করে। এর মাধ্যমে ২০২০ সালের মধ্যে নন-এক্সিকিউটিভ চাকরিতে ৪০ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে। এ ছাড়া শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য শতকরা ৪ ভাগ কোটা রাখা হয়।

জাপান ও চীন

জাপানে বুরাকুমিন সম্প্রদায়কে সরকারি চাকরিতে বিশেষভাবে প্রাধান্য দেওয়া হয়। ব্যক্তি মালিকানাধীন বা বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মীসংখ্যা পাঁচ শতাধিক হলে বুরাকুমিন এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের জন্য ৫ শতাংশ কোটার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। চীনের মোট জনসংখ্যার ৮ শতাংশ হচ্ছে বিভিন্ন জাতি ও আদিবাসী সম্প্রদায়। তাদের জন্য সরকারি চাকরিতে অপেক্ষাকৃত কম যোগ্যতার বিধান রেখেছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য দেশটিতে এখনো ১ দশমিক ৫ শতাংশ চাকরি সংরক্ষণ করা হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মিছিলে বিএনপি নেতার গুলির প্রতিবাদে বিক্ষোভ

রৌমারীতে ব্যবসায়ীদের আহ্বায়ক কমিটির শপথ অনুষ্ঠিত

৬৫ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে নেয়ায় মামুনের বিরুদ্ধে যুবদলের মামলা

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান

ক্ষমা পেয়ে আমিরাত থেকে ১২ জন ফিরছেন চট্টগ্রামে

‘ছাত্র জনতার আন্দোলনে হাসিনা সরকার দুই ভাবে পরাজিত’

মহানবীকে (সা.) কটূক্তিকারী সেই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা

শিবচর আঞ্চলিক সড়কে গ্রামবাসীর বৃক্ষরোপণ

মাদ্রাসাছাত্রকে বলাৎকার চেষ্টার অভিযোগ ধামাচাপা, ৭ দিন পর ফাঁস

১২ দিনেও মেলেনি রানীনগরে নিখোঁজ নার্গিসের সন্ধান

১০

দায়িত্বশীলদের নিয়ে সাতক্ষীরায় ছাত্র শিবিরের সমাবেশ

১১

আযহারী শিক্ষার্থীরা হবে বাংলাদেশ ও মিশরীয় ঐতিহ্যের সেতুবন্ধন : মিশরীয় রাষ্ট্রদূত

১২

রাজশাহীতে বস্তাভর্তি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

১৩

আন্দোলনের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রলীগ কর্মীকে গণধোলাই

১৪

আশুলিয়ায় গার্মেন্টস শ্রমিক অসন্তোষ ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে শ্রমিক সমাবেশ

১৫

কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি

১৬

পাকিস্তানের জলসীমায় বিপুল তেল-গ্যাস মজুতের সন্ধান

১৭

বিসিবির দুর্নীতির তদন্ত দাবি সাবেকদের

১৮

পাবিপ্রবি ছাত্রলীগ কর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

১৯

জেল খেটেছি তবু শেখ হাসিনার মতো পালিয়ে যাইনি : সাবেক এমপি হাবিব

২০
X