নতুন করে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি এবার উত্তর আমেরকিার দেশ নিকারাগুয়ার ২৫০ সরকারি কর্মকর্তার ও ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিরোধীদের ওপর দমনমূলক কর্মকাণ্ড এবং অবৈধ উপায়ে অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ার দায়ে দেশটির ২৫০ সরকারি কর্মকর্তার ওপর এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এ ছাড়া একইসঙ্গে দেশটির সরকারি তিন সংস্থার ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
মার্কিন প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের বলেন, ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা কর্মকর্তাদের মধ্যে পুলিশ এবং আধাসামরিক কর্মকর্তা, প্রসিকিউটর, বিচারক এবং সরকারি উচ্চশিক্ষা কর্মকর্তারা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।
একই সময়ে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি, এবং অর্থবিভাগ নিকারাগুয়া হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসনের সুবিধার্থে চোরাচালান এবং মানব পাচার নেটওয়ার্কগুলো বৈধ পরিবহন পরিষেবাগুলিকে কীভাবে ব্যবহার করছে সে সম্পর্কে বিমান সংস্থা এবং ট্রাভেল এজেন্টদের অবহিত করার জন্য একটি যৌথ সতর্কতা জারি করেছে৷
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিকারাগুয়া সরকারের পদক্ষেপগুলো অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগা এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজারিও মুরিলোর গৃহীত অভিবাসন নীতিমালা অীবধ অভিবাসনের জন্য অনুমতিমূলক।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, নিকারাগুয়া সরকার বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিক মন্তব্যের বিষয়ে সাড়া দেয়নি।
এর আগে ৩৭ কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ওপর দিয়ে গোয়েন্দা বেলুন ওড়ানোর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এসব প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা সব কোম্পানি চীনের। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে কয়েকটি গোয়েন্দা বেলুন শনাক্ত হয়। এ নিয়ে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে উত্তেজনা চলে আসছে।
রেডিও ফ্রি এশিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা এসব চীনা কোম্পানির মধ্যে ২২টি কোম্পানি মার্কিন কোয়ান্টাম প্রযুক্তি খাতের সহায়তা নিয়ে চীনের সামরিক বাহিনীর জন্য ড্রোন তৈরি করেছে। এছাড়া ১১টি কোম্পানি নজরদারি বেলুন তৈরি করেছে এবং বাকিরা ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে বিভিন্ন উপকরণ সরবরাহ করেছে।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সম্পদ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেওয়া হবে। ফলে তারা এবং তারা আমেরিকায় কোনো ব্যবস্যা পরিচালনা করতে পারবেন না।
মন্তব্য করুন