আটলান্টিক মহাসাগরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে সাবমেরিন টাইটান নিখোঁজের ঘটনায় পাঁচ পর্যটক প্রাণ হারিয়েছেন। তদের মধ্যে রয়েছেন ব্রিটিশ-পাকিস্তানি ধনকুবের শাহজাদা দাউদ ও তার ছেলে সুলেমান দাউদ। দুর্ঘটনার পর থেকে ধনাঢ্য এ ব্যবসায়ী সম্পর্কে মানুষের ব্যাপক কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক-কে ছিলেন এই শাহজাদা দাউদ, আর কতই বা তার সম্পদের পরিমাণ।
১৯৭৫ সালে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে জন্মগ্রহন করেন শাহজাদা দাউদ। বাবা হুসাইন দাউদ ছিলেন সেখানকার খ্যাতনামা শিল্পপতি। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক রয়েছে। যুক্তরাজ্যের বাকিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেন এই পাকিস্তানি ধনকুবের। এরপর মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
বাবার বহুজাতিক কোম্পানি দাউদ হারকিউলিস করপোরেশনের পরিচালক ছিলেন দাউদ। এ ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির সিস্টার কনসার্ন হিসেবে পরিচিত এনগ্রো করপোরেশনেরও ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন ৪৮ বছর বয়সী এই মাল্টি-মিলিয়নিয়ার।
এরপর ২০০০ সালে ক্রিস্টিন নামে এক জার্মান বংশদ্ভোত ব্রিটিশ নারীর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন পাকিস্তানের অভিজাত পরিবারের এই সন্তান। চার বছর পর তাদের কোলজুড়ে আসে সুলেমান দাউদ। ১৯ বছর বয়সী এই তরুণই বাবার সঙ্গে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে সলিল সমাধি হয়েছেন। আলাইনা নামে এক কন্যাসন্তানও আছে শাহজাদা-ক্রিস্টিন দম্পতির ঘরে।
বংশীয় পরম্পরায় বিপুল অর্থবিত্তের মালিক দাউদ। তার বাবা, এমনকি দাদাও ছিলেন পাকিস্তানের প্রথমশ্রেণির শিল্পপতিদের একজন। তবে তিনি ঠিক কী পরিমাণ অর্থের মালিক, সে বিষয়টি পরিষ্কার নয়।
যদিও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুয়ায়ী, তার মোট সম্পদের পরিমাণ সাড়ে তিনশ থেকে চারশ মিলিয়নের ঘরে। অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় যার মূল্য প্রায় ৩৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার কোটি টাকা!
মন্তব্য করুন