কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:৪৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

যে শিখ নেতার কথায় ‍‘ওঠবস’ করেন ট্রুডো

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ছবি : সংগৃহীত
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ছবি : সংগৃহীত

ভারতীয় বংশোদ্ভূত শিখ নেতা হারদ্বীপ সিং নিজ্জারের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ভারত-কানাডার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক খাদের কিনারায় ঠেকেছে। ওই হত্যাকাণ্ডে ঘটনায় ভারতীয় এক কূটনীতিককে বহিষ্কার করে কানাডা। জবাবে ভারতও কানাডার এক কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে।

শিখ নেতা নিজ্জারের হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে ভারত ও কানাডার সম্পর্ক কেন অবনতি হলো? কেন নিজ্জারের হত্যাকাণ্ডকে এত গুরুত্ব দিচ্ছে কানাডা? এর পেছনে নাকি রয়েছেন আরও এক শিখ নেতা। তার নাম জগমিত সিং। তিনি কানাডার নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) নেতা। আড়ালে বসে তিনিই নাকি ট্রুডোকে প্রভাবিত করছেন। কানাডার রাজনীতিতে এই জগমিতের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

কানাডায় শিখ সংসদ সদস্য রয়েছেন মোট ১৮ জন। তাদের মধ্যে ১৭ জনের শিকড় ভারতের পাঞ্জাবে। এই ১৭ সংসদ সদস্যের মধ্যে অন্যতম জগমিত। তিনি কানাডার শিখ নেতাদের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষমতাশালী। ২০২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর কানাডায় ভোট হয়। ৪৪তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের সেই ভোটে ট্রুডোর দল দ্য লিবারেল পার্টি ১৫৭টি আসন পেয়েছিল। কিন্তু তা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের জন্য যথেষ্ট ছিল না। কানাডার প্রধানমন্ত্রী হতে গেলে ট্রুডোকে মোট ১৭০টি আসনে জিততে হতো। তিনি ১৩ আসন কম পেয়েছিলেন। এখানেই ময়দানে নামেন জগমিত এবং তার দলের সদস্যরা। ক্ষমতায় বসতে এনডিপির সঙ্গে সমঝোতা করতে হয়েছিল ট্রুডোকে। জগমিতের হাতে ছিল ২৫টি আসন। তার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এনডিপির সমর্থন লাভ করেন ট্রুডো। তার পরেই তিনি প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসেন।

অনেকের ধারণা, ট্রুডোর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার নেপথ্যে জগমিতের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জগমিত না চাইলে ট্রুডো ক্ষমতায় আসতেই পারতেন না। তারপর থেকে এনডিপিকে সমীহ করে চলে কানাডার শাসকদল।

সম্প্রতি কানাডার সংসদে ভাষণ দেন ট্রুডো। সেখানে তিনি বলেন, ‘নিজ্জার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ভারতের যোগসূত্র রয়েছে।’ এরপর জগমিত সিং বলেন, ‘কানাডার মাটিতে কানাডার নাগরিককে কোনো বিদেশি সরকার খুন করেছে, এ কথা আমি ভাবতেও পারছি না।’

প্রসঙ্গত, অনেক আগে থেকেই ভারতের শিখ ধর্মাবলম্বীরা আলাদা একটি দেশ গঠনের দাবি জানিয়ে আসছে। ১৯৮৪ সালে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে হত্যায় এই খালিস্তানি আন্দোলনের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। ওই ঘটনার পরেই ভারতে খালিস্তানি আন্দোলনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। তখন ভারত ছেড়ে কানাডায় আশ্রয় নেন খলিস্তানপন্থি শিখরা। কানাডায় ৭ লক্ষ ৭০ হাজার শিখ বসবাস করছেন, যা কানাডার মোট জনসংখ্যার ২ শতাংশ। তথ্যসূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কলেজের ডিজিটাল সাইনবোর্ডে ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে’ প্রদর্শন

রাজশাহীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৭

হত্যা মামলায় আ.লীগ নেতা প্রদীপ গ্রেপ্তার

নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ববি ছাত্রদলের বিক্ষোভ

সরিষাবাড়ীতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের তিন নেতা গ্রেপ্তার

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ

পীরগঞ্জে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ

দায়িত্ব অবহেলায় ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের এমডিকে তিনমাসের বাধ্যতামূলক ছুটি

কেশবপুরে পূজা উদযাপন ফ্রন্টের প্রতিনিধি সভা

শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ে উইন্টার ও স্প্রিং সেমিস্টারের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত

১০

৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়াদের অধিকাংশ হিন্দু দাবি করে ভারতীয় মিডিয়ার গুজব

১১

নিহত ছাত্রদল নেতা সবুজ হাসানের পরিবারের পাশে তারেক রহমান

১২

রমজানে ঢাকার ১০০ পয়েন্টে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি হবে ডিম-মুরগি

১৩

সুবাতাস বইছে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের পালে

১৪

ডেঙ্গুতে বছরের প্রথম মৃত্যু, হাসপাতালে ৫৬

১৫

রাঙামাটিতে প্রশিক্ষণ ক্যাম্প নিয়ে আইএসপিআরের দাবি নাকচ ইউপিডিএফের

১৬

ফারুকের ওপর হামলার ঘটনায় ছাত্রশিবিরের নিন্দা

১৭

উঠান বৈঠকে বিএনপি, আবেদের কোম্পানিগঞ্জ দিয়ে শুরু

১৮

নদীতে আফগান বাঁধ, ইরানের প্রতিবাদ

১৯

তাহসানের হবু শ্বশুর শীর্ষ সন্ত্রাসী পানামা ফারুক

২০
X