যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার অভিষেক ভাষণে ঘোষণা দিয়েছেন, মেক্সিকো উপসাগর এখন থেকে ‘আমেরিকা উপসাগর’ নামে পরিচিত হবে। এটি তার বৃহত্তর ভূ-রাজনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবে দেখা যাচ্ছে।
মেক্সিকো উপসাগর, যা দক্ষিণ মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রের গালভেস্টন উপকূলকে আলাদা করেছে। ট্রাম্পের ভাষণে এই নাম পরিবর্তনের মাধ্যমে তার উদ্দেশ্য স্পষ্ট যে, যুক্তরাষ্ট্র তার ভূ-রাজনৈতিক দৃষ্টি আরও শক্তিশালী করতে চায়।
এ ছাড়া, ট্রাম্প তার ভাষণে পানামা খালের কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, যদি পানামা এই খাল সঠিকভাবে পরিচালনা করতে না পারে, তাহলে খালটি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ফেরত নেওয়া হবে। ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র কখনো এই গুরুত্বপূর্ণ জলপথ হারাতে চায় না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আরও শক্তিশালী অবস্থান নেবে। ট্রাম্প আরও বলেন, দেশটি তার সম্পদ ও ভূখণ্ড বাড়াবে এবং ভবিষ্যতে মঙ্গলগ্রহে পতাকা স্থাপন করবে।
পানামা খাল উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করেছে। প্রতিদিন হাজার হাজার জাহাজ চলাচলের মাধ্যমে বিশ্ব অর্থনীতিকে সক্রিয় রেখেছে এ খাল।
খালটি নির্মাণের পথ ছিল কঠিন। নির্মাণকালে অনেক শ্রমিক মারা গিয়েছিলেন। ফরাসি প্রকৌশলীরা ব্যর্থ হয়েছিলেন। এরপর ১৯৭৭ সালে, অনেক বিতর্কের পর পানামা খালটির নিয়ন্ত্রণ লাভ করে।
কিন্তু পানামা খাল নির্মাণ সহজ ছিল না। এর নির্মাণকালীন হাজার হাজার শ্রমিকের প্রাণহানি, ফরাসি ব্যর্থতা ও দীর্ঘ রাজনৈতিক টানাপড়েনের পরও খালটি বিশ্বকে এক করতে পেরেছে। হয়ে উঠেছে বিশ্বের হৃৎপিণ্ড। ১৯৭৭ সালে দীর্ঘ রাজনৈতিক উত্তেজনার পর শেষ পর্যন্ত খালটির নিয়ন্ত্রণ পায় পানামা।
মন্তব্য করুন