পানামা খাল ও গ্রিনল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ পেতে প্রয়োজনে সামরিক ও অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগ করবেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও আদৌ তিনি সে চাপ প্রয়োগ করবেন কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চয়তা দেননি। মঙ্গলবার ফ্লোরিডার রিসোর্টে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, জাতীয় নিরাপত্তার জন্য, ওই দুটি এলাকা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খবর রয়টার্স।
পানামা খাল বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ নৌপথগুলোর মধ্যে অন্যতম। প্রথম দিকে এটি যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে ছিল, তবে ১৯৯৯ সালে খালটির নিয়ন্ত্রণ পানামার হাতে চলে যায়। ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পর পানামার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হ্যাভিয়ের মার্তিনেজ-আচা স্পষ্টভাবে বলেছেন, পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ কেবল পানামার জনগণের হাতে। এটি তাদের হাতেই থাকবে।
এ ছাড়া, গ্রিনল্যান্ড কিনে নেওয়ার ব্যাপারে ট্রাম্প আগেও তার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গ্রিনল্যান্ডের মালিকানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মিতে ফ্রেডরিকসেন ট্রাম্পের মন্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, ‘আমরা ঘনিষ্ঠ মিত্র ও অংশীদার। অর্থনৈতিক লাভের জন্য একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করা ভালো কিছু নয়।’
এদিকে কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ করতে অর্থনৈতিক শক্তি ব্যবহার করার কথা জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কৃত্রিমভাবে আঁকা রেখা থেকে মুক্তি পেলে, এটি জাতীয় সুরক্ষার জন্যও ভালো হবে। ভুলে যাবেন না, আমরা মূলত কানাডাকে রক্ষা করি।
আগামী ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও তার ক্ষমতায় বসতে এখনো কয়েকদিন বাকি। এর মধ্যেই নিজের আক্রমণাত্মক বৈদেশিক নীতির রূপরেখা প্রকাশ করতে শুরু করেছেন। এতে স্পষ্ট, ট্রাম্প আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে কূটনৈতিক সতর্কতা বা মার্কিন মিত্রদের উদ্বেগকে খুব বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
মন্তব্য করুন