কয়েক দিনের ব্যবধানে কাজাখস্তান এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় বড় দুটি বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। রোববার দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১৮১ যাত্রী নিয়ে জেজু এয়ারের বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। সে ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কানাডায় আরেকটি বিমানে আগুন ধরার ঘটনা প্রকাশ্যে এলো।
আনাদলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, কানাডার হালিফাস্ক বিমানবন্দরে একটি উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। অবতরণের সময় রানওয়েতে পিছলে যায় বিমানটি এবং এতে বিমানের একটি অংশে আগুন ধরে যায়।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ল্যান্ডিং গিয়ারে ত্রুটির কারণে যাত্রীবাহী বিমানটি জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়েছিল। ল্যান্ডিংয়ের সময় বিমানের একটি অংশে আগুন ধরলেও বিমানটি বিধ্বস্ত হয়নি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে দুর্ঘটনার পর বিমানবন্দরের কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়।
জানা গেছে, এয়ার কানাডার এসি২২৫৯ বিমানটি সেন্ট জন’স আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে আসে এবং এটি স্থানীয় সময় রাত ৯টায় হালিফাস্ক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা ছিল। তবে অবতরণের সময় বিমানটির ল্যান্ডিং গিয়ারে বিপত্তি দেখা দেয়।
এদিকে হালিফাস্ক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা গেছে, রানওয়ে দিয়ে ছুটে চলেছে একটি বিমান। সেই বিমানের এক অংশে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে।
গত কয়েক দিনের ব্যবধানে কাজাখস্তানে এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় বড় দুটি বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার কাজখস্তানের আকতাউয়ে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৩৮ জন নিহত হন। আজ রোববার দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান বিমানবন্দরে ১৮১ যাত্রী নিয়ে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি থেকে মাত্র দু’জন ছাড়া বাকি সব আরোহীর মৃত্যু হয়েছে।
মন্তব্য করুন