কিউবায় দেশজুড়ে ব্লাকআউটের তিন দিন পর বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। প্রধান পাওয়ার প্লান্টে বিভ্রাট দেখা দেওয়ায় দেশটির এক কোটির বেশি মানুষ এমন দুর্ভোগের মুখোমুখি হয়েছেন।
সোমবার (২১ অক্টোবর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদেনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার দেশব্যাপী ব্ল্যাকআউটে অন্তত এক কোটি মানুষ সম্পূর্ণ অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছিল। এরপর ধীরে ধীরে রাজধানী হাভানায় বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। বিদ্যুৎবিভ্রাটের কারণে দেশটির সরকার বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সমস্ত অগুরুত্বপূর্ণ অফিস এবং স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছে।
কিউবার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সোমবার থেকে রাজধানী হাভানার প্রায় ৯০ শতাংশ বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। তবে দ্বীপের অন্যান্য অংশের বিষয়ে তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
সোমবার কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক হওয়ার কথা জানালেও অনেক কিউবানের কাছে বিষয়টি অবিশ্বাস্য মনে হয়েছে। দেশটিতে এ সংকটকালে কেবল হাসপাতাল ও জরুরি পরিষেবায় বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক ছিল।
সোমবার স্থানীয় ৫১ বছর বয়সী এক বাসিন্দা একটি টেবিল ল্যাম্পের সঙ্গে ছবি তুলে বলেন, বিদ্যুৎ ফিরে এসেছে। তবে দেখার বিষয় এটি কতক্ষণ স্বাভাবিক থাকে।
এর আগে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কিউবার এক কোটি মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) গ্রিড কর্মকর্তারা জানান, বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপন করতে কত সময় লাগবে তা এখনও স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।
দ্বীপরাষ্ট্র কিউবা কয়েক মাস ধরে দীর্ঘ ব্লাকআউটের শিকার হচ্ছে। সেখানকার বৃহত্তম মাতানজাসে আন্তোনিও গুইটারাস পাওয়ার প্ল্যান্ট হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ সংকট তৈরি হয়েছে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ ক্যানেল বলেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বিদ্যুৎ পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত কাজ অব্যাহত থাকবে।
দেশটির বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রধান কর্মকর্তা লাজারা গুয়েরার বলেন, বিদ্যুৎব্যবস্থা পুনরুদ্ধারে কাজ প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
এর আগে দেশটির কর্মকর্তারা জানান, সোমবার পর্যন্ত নাইটক্লাবসহ সব স্কুল এবং অপ্রয়োজনীয় কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া কিছু কর্মীদের বাড়ি থাকতে এবং কম গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পরিষেবাগুলোকে স্থগিত করা হয়েছিল।
ন্যাশনাল ইলেকট্রিক ইউনিয়নের (ইউএনই) প্রধান আলফ্রেডো লোপেজ ভালদেস বলেন, বিদ্যুৎবিভ্রাটের কারণে দ্বীপটি এখন চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে।
মন্তব্য করুন