দীর্ঘ ১৮ বছরের দাম্পত্য ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও তার স্ত্রী সোফি গ্রেগরি ট্রুডো। বুধবার (২ আগস্ট) ইনস্টাগ্রামে এ ঘোষণা দেন ট্রুডো দম্পতি। ঘোষণার পর এবার ট্রুডোর বাসা ছেড়েছেন সোফি গ্রেগরি। তবে সন্তানদের দেখাশোনার জন্য তিনি ট্রুডোর কাছাকাছি থাকবেন।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, শনিবার (৫ আগস্ট) ট্রুডোর বাসভবন ‘রিডো কটেজ’ ছেড়েছেন সোফি গ্রেগরি। তবে বাড়ি ছাড়লেও সন্তানদের প্রতি নিজের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। এজন্য ট্রুডোর বাসভবনের কাছাকাছি তিনি একটি ব্যক্তিগত বাড়িতে উঠেছেন।
আরও পড়ুন : ট্রুডো দম্পতির ১৮ বছরের নানা ঘটনাপ্রবাহ
কানাডার প্রচলিত আইন অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী তার সমর্থনে দেশের প্রতিনিধিত্বে ভূমিকা রাখতে পারেন। তবে বিচ্ছেদের ফলে এ সুবিধা পাবেন না সোফি। এজন্য তাকে সরকারি প্রচারণায় বা কোনো বক্তৃতায় দেখা যাবে না। এমনকি তিনি কোনো দাপ্তরিক উপাধিও বহন করতে পারবেন না। এ ছাড়া রাষ্ট্রীয় কোনো বিদেশ সফর বা সরকারি নিরাপত্তা সুবিধাও পাবেন না।
সরকারি বা দাপ্তরিক কাজে সোফিকে দেখা না গেলেও ট্রুডোর বাসভবনে আসা-যাওয়া করতে পারবেন তিনি। তবে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে তার কোনো অধিকার থাকবে না।
সোফি আগে টেলিভিশনে উপস্থাপক হিসেবে কাজ করতেন। বর্তমানে লিঙ্গসমতা ও নারীদের অধিকারের মতো বিষয়গুলোতে আইনজীবী হিসেবে কাজ করছেন। বিচ্ছেদের পরও তিনি এসব কাজে নিজের ভূমিকা অব্যাহত রাখবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের নাম ‘সাসেক্স’। ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পরও তারা সেখানে যাননি। নিজ বাসভবন রিডো কটেজে বসবাস করে আসছিলেন এ দম্পতি। তবে বিচ্ছেদের ঘোষণার পর এবার সেই বাসভবন ছাড়লেন সোফি।
মন্তব্য করুন