কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় বিবৃতি দিয়েছে কানাডা। এতে আন্দোলনে সহিংসতার বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছে কানাডার হাইকমিশন।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) কানাডার হাইকমিশন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তাদের ভেরিফাইড পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আমরা বাংলাদেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখব। হাইকমিশন জানিয়েছে, গত সপ্তাহে কোটা আন্দোলনের সময় বাংলাদেশের জনগণ যে সহিংসতার শিকার হয়েছে তাতে আমরা মর্মাহত। আমরা ভুক্তভোগী, তাদের পরিবার এবং ক্ষতিগ্রস্ত সবার প্রতি সমবেদনা জানাই। আমরা শান্তিপূর্ণ সমাধান ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাকস্বাধীনতা এবং সমাবেশের অধিকার সমুন্নত রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অনতিবিলম্বে ইন্টারনেট পরিসেবা সম্পূর্ণরূপে পুনরুদ্ধার করার আহ্বান জানাই, যাতে মানুষ গুরুত্বপূর্ণ তথ্যে অ্যাক্সেস পায় এবং কানাডা ও বিশ্ববাসী তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিচার ব্যবস্থাকে অবশ্যই গ্রেপ্তার সবার জন্য যথাযথ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে হবে এবং এ ঘটনায় দায়ীদের জবাবদিহি অব্যাহত রাখতে হবে। কানাডা বাংলাদেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখবে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শিক্ষার্থীদের তুমুল আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা ১০ শতাংশ বাতিল করে পরিপত্র জারি করে সরকার।
সেখানে বলা হয়েছিল, ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। ওইসব গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগে বিদ্যমান কোটা বাতিল করা হলো।
এ পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলামসহ সাত শিক্ষার্থী। এর প্রেক্ষিতে গত ৫ জুন ২০১৮ সালের জারিকৃত পরিপত্রটিকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।
এরপর থেকেই সারা দেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ফুঁসে ওঠেন। কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে নানা স্থানে বিক্ষোভ করেন কোটাবিরোধীরা। ঢাবি ছাড়াও বিক্ষোভ হয় জাবি, জবি, রাবি, সাত কলেজসহ দেশের স্বনামধন্য বিভিন্ন কলেজে।
পরবর্তীতে নানা ঘটনার মধ্যদিয়ে এ বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নেয়।
মন্তব্য করুন