ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জনপ্রিয়তায় বাজিমাত করেছেন সংস্কারপন্থি প্রার্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান। শুক্রবার অনুষ্ঠিত দেশটির নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন তিনি। তবে দেশটির নিয়মানুসারে ৫০ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়িয়েছে।
মাসুদ পেজেশকিয়ান সংস্কারপন্থি নেতা হিসেবে পরিচিত। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, পশ্চিমাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরও উন্মুক্ত করতে চান। এছাড়া অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উভয় ক্ষেত্রেই সংস্কার শুরু করতে চান তিনি।
তার এমন ইংগিতের ফলে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে মাসুদ পেজেশকিয়ান ইরানের প্রেসিডেন্ট হলে আমেরিকার সঙ্গে তাদের সম্পর্ক বদলাবে কি না। কেননা দেশটির ক্ষমতা দীর্ঘদিন ধরে কট্টরপন্থিদের হাতে রয়েছে।
প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে তিনি বলেন, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা ইরানে বাণিজ্য অংশীদারদের আকর্ষণ করার ক্ষেত্রে একটি বাধা হিসেবে কাজ করছে। সীমান্ত খোলা ছাড়া আট শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করা অসম্ভব বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
পেজেশকিয়ান পারমাণবিক চুক্তিকে পুনরুজ্জীবিত করে পশ্চিমাদের আরোপ করা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের সম্পর্কও স্বাভাবিক করতে চান তিনি।
তিনি বলেন, আমরা কি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আজীবন বৈরী সম্পর্ক রাখব না কি তাদের সঙ্গে আমাদের সমস্যাগুলো মেটানোর উদ্যোগ নেব?
ইরানের ক্ষমতা বেশ কয়েক বছর ধরে রক্ষণশীলদের হাতে রয়েছে। তবে পেজেশকিয়ান মনোনয়ন পাওয়ায় সংস্কারপন্থিরা আশার আলো দেখছেন। নির্বাচনেও তার ফলাফলই প্রতিফলিত হয়েছে।
ইরানের সর্বশেষ সংস্কারপন্থি প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ খাতামি পেজেশকিয়ানের প্রশংসা করেছেন। তিনি তাকে সৎ, ন্যায়পরায়ণ ও যত্নশীল মানুষ বলে উল্লেখ করেছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরানের নির্বাচনে পেজেশকিয়ান জয়ী হলে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে তাদের সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করতে পারে। কেননা পশ্চিমাদের সম্পর্কের বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন তিনি। এছাড়া সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিও বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। তার এ দুর্ঘটনার পেছনে নিষেধাজ্ঞায় পঙ্গু হওয়া অর্থনৈতিক অবস্থার কথাও সামনে আসছে।
মন্তব্য করুন