পরাশক্তি হিসাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে নিজের অবস্থান ধরে রাখতে নিজেদের প্রথম সুপারকম্পিউটার তৈরির টেন্ডার প্রকাশ করছে ইসরায়েল। বুধবার (২৬ জুন) দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ‘ইসরায়েল ইনোভেশন অথরিটি’ এই ঘোষণা দিয়েছে। জানা গেছে, টেন্ডারটির কার্যক্রম চালু হবে জুলাই মাস থেকে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটির সিইও ড্রোর বিন এক এআই সম্মেলনে বলেছেন, প্রযুক্তি খাতে এতদিন এআই ইসরায়েলের বন্ধু হিসেবে কাজ করলেও এর দ্রুত বিকাশের কারণে যে কোনো দিন এটি শত্রুতেও পরিণত হতে পারে। সেটি মোকাবিলা করতেই সরকারি, শিল্প ও শিক্ষাখাত সংশ্লিষ্ট জাতীয় এআই প্রকল্পের জন্য ২৫ কোটি ডলারের বাজেট বরাদ্দ করেছে ইসরায়েল সরকার, যার মধ্যে ৬০ শতাংশ খরচ হবে ২০২৪ সালেই। আর প্রকল্পটি শেষ হবে ২০২৭ সালে। পড়ে এটির তহবিল আরও বাড়ার সম্ভাবনাও আছে।
এই প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ বলেন, ইসরায়েলের নয় হাজার স্টার্টআপের মধ্যে দুই হাজার দুইশটিরও বেশি কোম্পানিতে এআই ব্যবহৃত হচ্ছে। আর সবচেয়ে বেশি জেনারেটিভ এআই কোম্পানি থাকা দেশের বৈশ্বিক তালিকায় ইসরায়েলের অবস্থান তৃতীয়, যেখানে এ প্রযুক্তিভিত্তিক কোম্পানির সংখ্যা বিশ্বে মাত্র ৭৩টি। তবে ভবিষ্যতে এই এআইর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিশ্বমঞ্চে ইসরায়েলের নেতৃত্ব, র্যাংকিং ও অবস্থান ধরে রাখতে একটি সুপারকম্পিউটার থাকা খুবই জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন ড্রোর বিন।
এই আইটি বিশেষজ্ঞ জানান, ইসরায়েল যেন বৈশ্বিক এআই দৌড়কে পাশ কাটিয়ে আরও বৃহত্তর লক্ষ্যে বড় বড় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেলকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার মতো ক্ষমতা অর্জন করতে পারে সে জন্য সুপারকম্পিউটার আবশ্যক। আর এটি ইসরায়েল অবশ্যই করে দেখাবে।
বিশ্বে আইটি সেক্টরে শীর্ষ অল্প কয়েকটি দেশের মধ্যে ইসরায়েল অন্যতম। দেশটি পাবলিক সেক্টরের জন্য বছরওয়ারি যত পণ্য বা সেবা তৈরি করে, তার ২০ শতাংশই থাকে প্রযুক্তিবিষয়ক, যার ফলে দেশটি গোটা বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ প্রযুক্তি কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত। বিশেষ করে হ্যাকিং ও নজরদারি বিষয়ক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিশ্বের সুপার পাওয়ার দেশগুলো থেকেও এগিয়ে ইসরায়েল। ভবিষ্যতে দেশটি সুপারকম্পিউটার তৈরি করতে পারলে আইটি সেক্টরে ইসরায়েল একরকম অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবে বলা চলে।
মন্তব্য করুন