চলতি দশক থেকে বিশ্ব রাজনীতিতে হু হু করে বাড়ছে ইরানের প্রভাব। মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে মার্কিন আরব মিত্রদের চাপেও নিজের ধারাবাহিক সফলতা অব্যাহত রেখেছে তেহরান।
বলা হচ্ছে, শিগগিরই ভূরাজনীতিতে অন্যতম পরাশক্তি হয়ে উঠবে শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ এ দেশটি। দেশটির যেমন রয়েছে সামরিক সফলতার ঐহিত্য তেমনি রয়েছে সাংস্কৃতিক ঐহিত্য।
সম্প্রতি ভূরাজনীতি ইরানের গুরুত্ব বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উঠে এসেছে ইরানি জাতির সাফল্যের রহস্য নিয়ে নানা কথা। জেনে নেয়া যাক কী সেই রহস্য।
ইরানি সংবাদমাধ্যম পার্স টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানে ইসলামী বিপ্লবের পরবর্তী ঘটনাগুলো দেশটির প্রতিরোধ ও বিজয় অর্জনের অন্যতম দৃষ্টান্ত। মুসলিমদের পবিত্র গ্রন্থ কোরআনের সুরা ফুসসিলাতের (হা-মিম আস-সাজদা) ৩০ নম্বর আয়াতের উদ্ধৃতি দিয়ে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনি জানান, ইরানিরা আল্লাহর প্রতি তাদের দেয়া শপথে অবিচল।
বলা হয়, ইরানের ওপর ইরাকের সাদ্দাম হোসেনের চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধে ইরানিদের প্রতিরোধ এবং বিজয়ের অনন্য সফলতা অর্জন এর অন্যতম দৃষ্টান্ত। বর্তমানেও ইরান তার দৃঢ়তা ও অবিচলতা বজায় রেখেছে এবং এর ফলে বিজয় অর্জন করছে।
বর্তমানে ইরানের বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের যেসব চাপ দেখা যায় তার বিরুদ্ধে ইরানিরা আল্লাহর দেয়া বিধানের ওপর ভরসা করে। দেশটির জনগণ নিজেদের বৈধ অধিকার আদায় এবং বিদেশিদের হস্তক্ষেপ বন্ধ করার ওপর অবিচল রয়েছে।
পার্স টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানি জাতির এই দৃঢ়তার কারণে মার্কিন পরাশক্তিসুলভ দাপট বিলুপ্ত হয়েছে এবং ইরান হয়ে উঠেছে উঠেছে নির্ভীক ও সাহসী। আর এই দৃঢ়তা ও অবিচলতার কারণেই মহান আল্লাহ দেশটির ওপর বরকত ও রহমত নাজিল করছেন। ফলে ইরানি যুবকদের হৃদয়ে শত্রুর প্রতি কোনো ভয় নেই।
মুসলিম ধর্মগ্রন্থ কোরআনে বলা হয়েছে, যারা আল্লাহর পথে অবিচল থাকে সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাদের ভয় ও দুঃখ দূর করে তাদেরকে সাফল্য দান করেন। আর এটাই হচ্ছে আল্লাহর পথ। আল্লাহর পথে চলার অর্থ মানে এই নয় যে কেবল ঘরের এক কোণে বসে ইবাদাত করা। আল্লাহর পথ মানে মানুষকে সৌভাগ্যের দিকে এগিয়ে নেয়া। ইরানি জাতি এই পথই বেছে নিয়েছে।
বলা হয়, ইরানি জাতি ন্যায়ের পথে দৃঢ় থেকে খোদায়ি দাসত্ব, সাম্য, ভ্রাতৃত্ব ও নৈতিকতার ওপর অনঢ় রয়েছে। আর এ জন্য তারা স্বাভাবিকভাবেই আল্লাহ পক্ষ থেকে প্রতিদান লাভ করবে। পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে ইরানের শহীদ পরিবার নিজ সন্তানদের শাহাদাতের কারণে আনন্দিত ও প্রফুল্লও থাকে।
মন্তব্য করুন