কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ জুন ২০২৪, ০৬:৩৩ এএম
অনলাইন সংস্করণ

হজে গিয়ে ফিরল না বাবা-মা, চোখের জলে ভাসছে মেয়ে

পবিত্র কাবা। ছবি : সংগৃহীত
পবিত্র কাবা। ছবি : সংগৃহীত

আজীবনের লালিত স্বপ্ন ছিল পবিত্র হজ পালন করবেন। সেই স্বপ্নকে পুঁজিকে ট্যুর কোম্পানির হাতে টাকাও তুলে দিয়েছিলেন এক মার্কিন দম্পতি। কিন্তু হজ পালন শেষে আর বাড়ি ফেরা হলো না ইসাটু টেজান উরি ও তার স্বামী আলিউ ডৌসি উরির। সিএনএনকে এই দম্পতির মেয়ে সাইদা উরি বলেন, তার বাবা-মায়ের সারাজীবনের স্বপ্ন ছিল হজ পালন করবেন। এজন্য মেরিল্যান্ডের একটি ট্যুর কোম্পানি ২৩ হাজার ডলারও দিয়েছিলেন তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের বাউয়ির বাসিন্দা ইসাটু ও আলিউ। ইসাটু পেশায় একজন নার্স ছিলেন। সম্প্রতি তিনি প্রিন্স জর্জেস কাউন্টির কাইজার পারমানেন্টের থেকে হেড নার্স হিসেবে অবসরে যান। আরও প্রায় ১০০ হজযাত্রীর সঙ্গে ওই ট্যুর কোম্পানির মাধ্যমে সৌদি আরব গিয়েছিলেন এই দম্পতি। কিন্তু তাদের জন্য যথাযথ পরিবহন বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ছিল না বলে অভিযোগ করেন সাইদা।

বাবা-মায়ের সঙ্গে সাইদার সর্বশেষ কথা হয়েছিল আরাফার দিন। এদিন পবিত্র হজ পালনে লাখ লাখ হাজি আরাফাতের ময়দানে হাজির হন। সাইদাকে তার বাবা-মা জানান, আরাফাতের ময়দানে যাওয়ার জন্য তারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন। কিন্তু কোনো গাড়ি আসেনি। তার বাবা-মা তখন মিনায় ছিলেন বলে বিশ্বাস সাইদার। পরে দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করে হেঁটেই আরাফার দিকে রওনা দেন ইসাটু ও আলিউ।

তীব্র রোদের মধ্যেই হেঁটে আরাফাতের ময়দানে তাদের ট্যুর গ্রুপের সঙ্গে মিলিত হন এই দম্পতি। ট্যুরের অন্য সদস্যরা পাহাড়ে উঠলেও ৭১ বছর বয়সী আলিউ জানান, তিনি আরাফাতের পাহাড়ে উঠতে পারবেন না। এজন্য কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে পাহাড়ের পাদদেশেই বসে পড়েন তিনি। পরে ট্যুর গ্রুপে থাকা একজন সাইদার সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তার বাবা-মাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

সৌদি আরবের জেদ্দায় মার্কিন কনস্যুলেট থেকে পরে সাইদার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাকে জানানো হয়, নিখোঁজ হওয়ার দিনই তার বাবা-মায়ের ‘স্বাভাবিক’ মৃত্যু হয়েছে। মার্কিন দূতাবাসের একজন পরে সাইদাকে জানায়, হিটস্ট্রোকে মারা গেলে, সেটাও স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে ধরা হয়। পরে দম্পতিকে সৌদি আরবেই কবর দেওয়া হয়। তবে বাবা-মায়ের কবর কোথায়, তা জানার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন সাইদা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সাবেক ডিআইজি বাতেনের জমি জব্দ, ব্যাংক হিসাবে ৫ কোটি টাকা অবরুদ্ধ

‘গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার মহানায়কদের স্মৃতি সংরক্ষণে গুরুত্ব দিতে হবে’

যমুনা রেলসেতুতে চলল বাণিজ্যিক ট্রেন

ডিপিডিসির ব্যবস্থাপক হুজ্জতের ফ্ল্যাটসহ স্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ

আশঙ্কা জাতিসংঘের / জুলাই আন্দোলনে ১৪০০ জনের বেশি নিহত

জাতিসংঘের প্রতিবেদনকে স্বাগত জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার

তিস্তা মহাপরিকল্পনাসহ ১২ দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে নিজের প্রস্তুতি নিয়ে সন্তুষ্ট শান্ত

যুক্তরাষ্ট্রকে ‘চাঁদাবাজ’ বলল উত্তর কোরিয়া

ববি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক রাকিব, সদস্য সচিব সিরাজুল

১০

এস আলম পরিবারের ৫ হাজার কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ

১১

স্ত্রীসহ জাপার মুজিবুল হক চুন্নুর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

১২

আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে কী বললেন প্রধান উপদেষ্টা

১৩

চাঁদাবাজির মামলায় যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

১৪

দেশে এখনো গণতন্ত্র পূর্ণ প্রতিষ্ঠা হয়নি : সাজ্জাদুল মিরাজ 

১৫

আনসার‌ সদস্যদের যৌক্তিক দাবি মানা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৬

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সাকিবের অভাব অনুভব করবেন শান্ত

১৭

ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান : জর্ডানের পর মিসরেরও দৃঢ় প্রতিক্রিয়া

১৮

জুলাই আন্দোলনে নিহত পুলিশ সদস্যদের সংখ্যা জানাল জাতিসংঘ

১৯

রাবি পিডিএফের সভাপতি ফয়সাল, সম্পাদক লতা

২০
X