শত চেষ্টা করেও আরেকটি নতুন যুদ্ধ বুঝি ঠেকানো গেল না। সীমান্তের ওপারে প্রতিবেশী দেশে হামলার জন্য মুখিয়ে রয়েছে ইসরায়েল। যদিও এই হামলা ঠেকাতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
কিন্তু ইসরায়েল হামলা চালাতে অনেকটাই মরিয়া। তাই শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হতে পারে। এমনটা ঘটলে মধ্যপ্রাচ্য আরও বড় সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে।
গাজায় আট মাস ধরে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। তবে এই যুদ্ধে জয়ী হতে পারছে না তারা। এরই মধ্যে নতুন আরেকটি যুদ্ধ শুরু করতে চায় ইসরায়েল।
দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেসের নর্দার্ন কমান্ড মেজর জেনারেল ওরি গরদিন ও হেড অব দ্য অপারেশন্স ডিরেক্টরেটের মেজর জেনারেল ওদেদ বাসিউক মঙ্গলবার এ যুদ্ধ পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে লেবানন থেকে প্রায়ই ইসরায়েলের দিকে রকেট বা মিসাইল ছুটে আসছে। কিছু দিন আগে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর একজন শীর্ষ নেতা ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়। এরপর দুইশোটির বেশি রকেট ছোড়ে লেবানন। এ ঘটনার কয়েক দিনের মাথায় লেবাননে যুদ্ধ পরিকল্পনা অনুমোদন করল ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। সেনা সদস্যদের প্রস্তুত রাখারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
গেল বছরের শেষভাগ থেকে ইসরায়েলে হামলার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। মঙ্গলবার তারা প্রায় ১০ মিনিটের একটি ভিডিও প্রকাশ করে। ওই ভিডিওতে ইসরায়েলে হাইফা ও অন্যান্য শহরের দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে। লেবাননের গ্রুপটির দাবি, ড্রোন থেকে ইসরায়েলের সামরিক ও বেসামরিক অবস্থানের এই ভিডিও করা হয়েছে।
ওই ভিডিও প্রকাশের পর ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মনে আতঙ্ক ঢুকে গেছে। ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, আমরা লেবানন ও সেখানকার সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে খেলার নিয়ম পরিবর্তন করার খুব কাছে রয়েছি। পুরো মাত্রার একটি যুদ্ধের মাধ্যমে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীকে ধ্বংস করা হবে। আর লেবাননকে চরম শিক্ষা দেওয়া হবে।
প্রায় প্রতিদিন ছোটখাটো সংঘাতের ঘটনা ঘটছে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে। এতে ইসরায়েলে ১০ জন বেসামরিক নাগরিক এবং ১৫ জন সেনা ও রিভার্জ ফোর্সের সদস্য নিহত হয়েছে। আর সীমান্তের ওপারে থাকা লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী, তাদের ৩৪৩ জন সদস্য নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য সশস্ত্র গ্রুপের কয়েক ডজন সদস্য ও বেসামরিক নাগরিকও নিহত হয়েছে লেবাননে।
মন্তব্য করুন