গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর চলছে ইসরায়েলি গণহত্যা। তারই জেরে কোকাকোলার সঙ্গে ইসরায়েলের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে বৈশ্বিক এই কোমল পানীয়টি বয়কটের ডাক দিয়েছেন অনেকেই।
এ অবস্থায় ইসরায়েলের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখা এবং বিশ্বব্যাপী ফিলিস্তিনপন্থীদের সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করে যাচ্ছে এই ব্র্যান্ডটি। কোকাকোলা বলছে যে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় তাদের ফ্যাক্টরি রয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ আরবে ২০১৬ সালের ১ ডিসেম্বর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল- অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় কোকাকোলার ফ্যাক্টরির কাজ শুরু হয়েছে। সেখানে বলা হয়, ওই বছরের ৩০ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে গাজায় ফ্যাক্টরি চালু করেছে কোকাকোলা।
ফ্যাক্টরি চালুর মাধ্যমে গাজায় শত শত কর্মসংস্থান সৃষ্টির কথাও বলা হয়েছিল ওই প্রতিবেদনে। এক বিবৃতিতে কোকাকোলা ঘোষণা দিয়েছিল যে, দুই কোটি ডলার বিনিয়োগে গাজায় কোম্পানিটির প্রথম ফ্যাক্টরি চালুর মাধ্যমে প্রায় ১২০টি কর্মসংস্থান তৈরি করবে। এরপর ধীরে ধীরে সেটি ২৭০-এ উন্নীত করা হবে।
ফিলিস্তিনে কোকাকোলার ফ্যাক্টরি খোলার পেছনে মূল ভূমিকা রাখেন ন্যাশনাল বেভারেজ কোম্পানি বা এনবিসি'র প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান জাহি খৌরি। ইসরায়েলে জন্ম নেওয়া এই ধনকুবের একজন খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বী।
তিনি গাজায় কোকাকোলা প্ল্যান্টের উদ্বোধনকে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক বলে আখ্যা দেন। যদিও পশ্চিম তীরে এর আগেই এনবিসির আরও তিনটি বোতলজাতকরণের ফ্যাক্টরি ছিল।
কোকাকোলার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটেও গাজায় কোকাকোলার ফ্যাক্টরি পরিচালনার বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে। ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এনবিসি একটি স্বাধীন কোম্পানি। তবে কোকাকোলার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধভাবে এটি পরিচালিত হয়।
ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়, ১৯৯৮ সাল থেকে এনবিসির সঙ্গে যৌথভাবে গাজায় স্কুল পরিচালনা, রোজায় ইফতার বিতরণ থেকে শুরু করে নানা ধরনের সমাজসেবামূলক কাজ করছে কোকাকোলা।
এদিকে ইসরায়েলের দখলকৃত পশ্চিম তীরের আতারোতে আরও একটি কোকাকোলা ফ্যাক্টরি রয়েছে। ২০০৫ সালে অবৈধ বসতিতে চালু হওয়া ওই ফ্যাক্টরির সমালোচনা করেছে ফিলিস্তিনপন্থী মানবাধিকার গোষ্ঠী দ্য বয়কট, ডাইভেস্টমেন্ট অ্যান্ড স্যাংকশনস মুভমেন্ট বিডিএস ছাড়াও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংগঠন।
মন্তব্য করুন