লোহিত সাগরে আবারও জাহাজে হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিরা। এতে জাহাজের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার শিকার জাহাজটি গ্রিসের মালিকানাধীন। হামলার কারণে জাহাজটিতে পানি ঢুকে যায়। পরে এটিকে উদ্ধার করা হয়। এ হামলার ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে হুতিরা।
হুতিরা জানিয়েছে, হামলার শিকার জাহাজটির নাম টিউটর। কয়লাবাহী জাহাজটিতে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। জাহাজটি হামলার কারণে ডুবে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানিয়েছে, ড্রোনের হামলায় জাহাজে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হামলার ফলে জাহাজের ইঞ্জিন রুমের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া জাহাজে পানি উঠতে শুরু করেছে।
এর আগে ব্রিটিশ নৌবাহিনীর সমুদ্র নিরাপত্তাবিষয়ক সংস্থা জানায়, বুধবার (১২ জুন) তারা হোদাইদাহ বন্দদ থেকে প্রায় ৬৬ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে একটি জাহাজে হামলার খবর পেয়েছে তারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে গ্রিসের এক কর্মকর্তা বলেন, জাহাজটিতে আকাশ ও সমুদ্রপথে দুবার হামলা করা হয়েছে। তবে এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
গত অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধে এরই মধ্যে ৩৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হুতিরা বলছে, গাজার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি এবং ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে তারা লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজে হামলা করে আসছে।
মার্কিন সেনা সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৯ নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে ৫০টির বেশি জাহাজে হামলা চালিয়েছে হুতিরা। তাদের হামলার ভয়ে বেশিরভাগ জাহাজ কোম্পানি গুরুত্বপূর্ণ এই দুই নৌপথ এড়িয়ে গন্তব্যে পাড়ি দিচ্ছে। এতে পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে পশ্চিমারা।
হুতিদের হামলার জবাবে বেশ কয়েকটি দেশের সমন্বয়ে একটি টহল জোট গঠন করে যুক্তরাষ্ট্র। এই জোট গঠন করেও ইরানপন্থি যোদ্ধাদের থামাতে না পেরে ইয়েমেনে হুতিদের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায় মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনী। তবে হামলা করেও এখন পর্যন্ত তাদের থামাতে পারেনি পশ্চিমারা।
মন্তব্য করুন