বিশ্বে এক বছরে সংঘাতের কারণে বাস্তুচ্যুতের সংখ্যা রেকর্ড ছুয়েছে। গত এক বছরে যুদ্ধ সহিংসতা ও নির্যাতনের কারণে ১২ কোটি মানুষ বাস্তচ্যুত হয়েছেন। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এ তথ্য জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে প্রতিনিয়ত ঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।
ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, গাজা, সুদান, মিয়ানমারসহ অনেক অঞ্চলে সংঘাত চলছে। ফলে এসব অঞ্চলের মানুষ বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছে। এজন্য বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা নতুন রেকর্ড হয়েছে।
সংস্থাটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা এখন জাপানের মানুষের সমান। সুদানের সংঘাতের বিষয়টি উল্লেখ করে এতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে দেশটিতে চলা সংঘাতের কারণে ৭১ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এর আগে দেশটিতে আরও ১৯ লাখ বাস্তুচ্যুত ছিল। এ ছাড়া ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ সুদানে ১০ লাখ ৮০ হাজার লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
বার্তাসংস্থা এএফপির তথ্যমতে, গত বছর ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক কঙ্গো ও মিয়ানমারে ভয়াবহ লড়াইয়ের কারণে লাখ লাখ মানুষ অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ফিলিস্তিনের প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, গাজায় মোট ১৭ লাখ বাসিন্দা রয়েছেন। তবে তাদের মধ্যে ৭৫ শতাংশ লোকে বিপর্যয়কর সহিংসতার কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এদের অনেকে একাধিকবার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বাস্তুচ্যুত রয়েছেন সিরিয়ায়। দেশটিতে এবং দেশের বাইরে মোট এক কোটি ৩৮ লাখ বাস্তুচ্যুত রয়েছেন।
মন্তব্য করুন