গাজায় ইসরায়েলের অভিযানে হতাহতদের পরিবারের সদস্যদের বিনা খরচে হজের সুযোগ দিচ্ছে সৌদি আরব। তবে ইসরায়েলি বাধার কারণে গাজার কেউ হজ করতে যেতে পারেননি। বুধবার (১২ জুন) আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ফিলিস্তিনের আওকাফ ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলতি মাসের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের চার হাজার ২০০ বাসিন্দা হজ করতে সৌদি এসেছেন। তবে গাজার কেউ সৌদি আরবে পৌঁছাতে পারেননি। গত আট মাস ধরে হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের চলা যুদ্ধের কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
ফাতিমা জারঘৌন নামের এক ফিলিস্তিনি নারী আলজাজিরাকে বলেন, আমি হজে যাওয়ার জন্য সব গয়না বিক্রি করেছি। কারণ আমার কিছু ঋণ ছিল। তবে এবার আমাদের সুযোগ থাকার পরও যুদ্ধের কারণে হজের স্বপ্ন পূরণ করা হলো না।
এর আগে আল আরাবিয়া জানায়, ক্ষতিগ্রস্ত গাজাবাসীদের হজ পালনে সহযোগিতা করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ইতোমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন বাদশাহ সালমান। তার এই নির্দেশের আওতায় আরও বাড়তি এক হাজার ফিলিস্তিনি পরিবার থেকে সৌদি আরবে বিনা খরচে হজ পালনের সুবিধা পাবেন। সৌদি আরবের বাদশাহর দপ্তর এ সংক্রান্ত এক রাজকীয় নির্দেশ জারি করেছে।
বাদশাহ সালমানের রাজকীয় নির্দেশে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকার শহীদদের পরিবার থেকে হজযাত্রীদের সৌদি আরবে আনার জন্য একটি উদ্যোগ নিয়েছে রিয়াদ। এই উদ্যোগের আওতায় ফিলিস্তিন থেকে মোট দুই হাজার হজযাত্রী আসবেন। তারা বিনা খরচে হজ করবেন।
সৌদি আরবের ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স, দাওয়াহ অ্যান্ড গাইডেন্স মন্ত্রী শেখ আবদুল লতিফ বিন আবদুল আজিজ আল-শায়েখ বলেছেন, এই পদক্ষেপ ফিলিস্তিনের জন্য সব স্তরে আমাদের দেশের অটল সমর্থনকেই তুলে ধরে।
তিনি বলেন, এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গাজার ফিলিস্তিনি জনগণের কষ্ট-দুর্দশা কিছুটা প্রশমিত করবে। সৌদি সরকারের এমন মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নতুন কিছু নয়। সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠাকালীন বাদশাহ আবদুল আজিজের যুগ থেকে দেশটি ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে।
মন্তব্য করুন