সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সয়লাব ‘অল আইজ অন রাফাহ’ লেখায়। ফিলিস্তিনের রাফাহ সীমান্তে ইসরায়েলি অভিযানের প্রতিবাদে তারকা থেকে শুরু করে সবাই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন। তবে এর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
‘অল আইজ অন রাফাহ’ লেখাটি প্রথম ছড়িয়ে পড়ে দ্য প্যালেস্টাইন নামের একটি এক্স পেজ থেকে। এ পোস্টে এআই দিয়ে বানানো একটি ছবিও যুক্ত করা হয়। ছবিটিতে মূলত পাহাড়ের পাদদেশে বিপুলসংখ্যক তাঁবুর সারি দেখা গেছে। এরমধ্যে একটি জায়গায় সাদা তাবু দিয়ে ‘অল আইজ অন রাফাহ’ লেখা হয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালিয়ে আসছে। হামাসকে নির্মূলের নামে ইসরায়েল এ হামলা চালাচ্ছে। এ হামলার সবশেষ অংশ হিসেবে রাফাহর একটি শরণার্থীশিবিরে হামলা চালিয়েছে তারা। এতে শিশুসহ অন্তত ৪৫ জন নিহত হন। এ ঘটনার পর আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
বিশ্বব্যাপী এ প্রতিবাদের জবাব দিয়েছে ইসরায়েল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এআই দিয়ে বানানো একটি শেয়ার করেছে তারা। গত ৭ অক্টোবরে হামাাসের ইসরায়েলের হামলার প্রেক্ষাপটে তৈরি ছবিতে দেখা গেছে, হামাসের এক যোদ্ধা একটি শিশুর সামনে বন্দুক হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
ইসরায়েল সরকারের অফিসিয়াল পেজ থেকে ছবিটি শেয়ার করা হয়েছে। ছবির ক্যাপশনে বলা হয়েছে, ৭ অক্টোবরের বিষয়ে কথা বলা আমরা কখনো বন্ধ করব না। জিম্মিদের মুক্ত না করা পর্যন্ত আমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাব।
We will NEVER stop talking about October 7th. We will NEVER stop fighting for the hostages. pic.twitter.com/XoFqAf1IjM — Israel ישראל (@Israel) May 29, 2024
ভারতীয় তারকারাও রাফাহ শহরে হামলার প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম হলো রিচা রিড্ডা, বরুন ধাওয়ান, সোনাক্ষী সিনহা, প্রিয়ঙ্কা চোপড়া, কারিনা কাপুর, দিয়া মির্জা, স্বরা ভাস্কর এবং আলিয়া ভাটসহ আরও অনেকে।
ফিলিস্তিন বংশোদ্ভুত মার্কিন সুপার মডেল বেলা হাদিদ, আইরিশ অভিনেত্রী নিকোলা কফলানসহ অনেক স্বনামধন্য ব্যক্তিরাও এ ছবি শেয়ার করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে ছবিটি ৪০ মিলিয়েনের বেশি শেয়ার হয়েছে। এ ছাড়া এক্সে দ্য প্যালেস্টাইন পেজেএটিতে তিন লাখ ৮৯ হাজার জন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাতদিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন।
অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। এ ছাড়া এ পর্যন্ত ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
মন্তব্য করুন