আট মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। তবে দেশটির হামলার বিরুদ্ধে আবার ফুঁসে উঠেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। তাদের সেনারা আবার ইসরায়েলের রাজধানী তেলআবিবে রকেট হামলা চালিয়েছে। রোববার (২৬ মে) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দীর্ঘ চার মাস পর প্রথমবারের মতো তেলআবিবে হামলা চালিয়েছে হামাস। গাজার দক্ষিণাঞ্চীয় শহর রাফাহ থেকে এ রকেট ছোড়া হয়েছে।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এ হামলার সময় অন্তত আটটি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। হামাসের ছোড়া রকেটের বেশিরভাগ প্রতিহত করার দাবি করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।
রোববার আলজাজিরা জানিয়েছে, হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসেম ব্রিগেড টেলিগ্রামে এক বার্তায় তেলআবিবে হামলার খবর জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাধারণ মানুষের ওপর ইসরায়েলি গণহত্যার জবাবে যোদ্ধারা এ হামলা চালিয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, তেলআবিবে অন্তত ১৫টি বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। দেশটির গণমাধ্যম জানিয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলের এলাকা রাফাহ থেকে এ হামলা করা হয়েছে। এলাকাটিতে সম্প্রতি ইসরায়েলি বাহিনী অভিযান শুরু করে।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, তেলআবিব ছাড়াও ইসরায়েলের শহর হার্জলিয়া ও পেতাহ টিকভাসহ বেশ কয়েকটি শহরে সাইরেন বেজে উঠেছে। টাইমস অব ইসরায়েল সেনাবাহিনীর বরাতে জানিয়েছে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রকেট মাটিতে আঘাত হানার আগেই ধ্বংস করেছে।
গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন।
অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। এ ছাড়া এ পর্যন্ত ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।
মন্তব্য করুন