দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ইব্রাহিম রাইসিকে শ্রদ্ধা জানাতে ৫ দিনের শোক চলছে ইরানে। তার দাফন শেষ হতে না হতেই নতুন প্রেসিডেন্ট পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তেহরান। অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্টের নাম পর্যন্ত ঘোষণা হয়ে গেছে রাইসির মরদেহ পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে। এমনকি কবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে সেই তারিখও ঘোষণা হয়ে গেছে। এখন প্রশ্ন হলো নতুন নেতা খুঁজতে কেন এত মরিয়া ইরান?
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলছেন, রাইসির মৃত্যুর কারণে ইরানের যে গতি তাতে একটুও প্রভাব পড়বে না। ধারণা করা হচ্ছে ইসরায়েল এবং আমেরিকাকে সামাল দিতেই এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশটি। এ ছাড়া নিজেদের দুর্বলতাকে কোনোভাবেই বুঝতে দিতে চায় না তারা।
যদিও ইরানে প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর পরবর্তী ৫০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করার বিধান রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে হবে। বলা হয়, আগামী ২৮ জুন নতুন করে প্রেসিডেন্টে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার দেশটির বিচার বিভাগ, আইনসভা এবং নির্বাহী কর্তৃপক্ষ এই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইরনার বরাতে তুর্কি বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থীদের নিবন্ধন শুরু হবে চলতি মাসের ৩০ মে এবং প্রচারণা চলবে আগামী ১২ থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত।
রোববার একটি জলাধার উদ্বোধন শেষে ইরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় তাবরিজ শহরে যাওয়ার সময় যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি বেল-২১২ হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়। এতে রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আবদুল্লাহিয়ানসহ ৯ জনের মৃত্যু হয়। এরপরই সংবিধান অনুযায়ী দেশটির ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবারকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খোমেনি।
ইব্রাহিম রাইসি তিন বছর আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে তাকে মনে করা হয় একদিন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির উত্তরসূরি হবেন।
মন্তব্য করুন