হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসি এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। তাকে খুঁজে পেতে অভিযানের নেমেছে ৬৫টি অনুসন্ধানী দল। তাদের সঙ্গে আটটি অ্যাম্বুলেন্স ও ড্রোন রয়েছে।
এদিকে এই দুর্ঘটনার পর থেকে ইরানের পাশে দাঁড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ। একইসঙ্গে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
এ বিষয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাওয়েপ এরদোয়ান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স এ সব সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দিয়ে একটি পোস্ট করেছেন।
পোস্টে তিনি বলেন, আমরা দুর্ঘটনাটি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। ইরানি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ ও সমন্বয় করছি। আমরা প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত।
এর আগে দেশটির সরকারের জরুরি সহায়তা সংস্থা এএফএডি জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের সন্ধানে ইরানকে সাহায্য করার জন্য তুরস্ক পাহাড়ে উদ্ধারকাজে বিশেষজ্ঞ ৩২ জনকে পাঠাচ্ছে।
এর আগে সোমবার (২০ মে) ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানায়, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসি ও তার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর রাশিয়া, আজারবাইজান, আর্মেনিয়া এবং ইরাক উদ্ধার কাজে সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়াও দুর্ঘটনার পরপর এর কারণ অনুসন্ধানে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে। অপরদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতও সমর্থন দিয়েছে এবং বলেছে যে তারা ইরানের পাশে আছে।
হোয়াইট হাউসের একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ঘটনার বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস দুর্ঘটনার খোঁজ নিচ্ছেন।
রোববার (১৯ মে) ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা এ তথ্য জানায়। এরপর তাদের সন্ধানে নামে অনুসন্ধান দল।
হেলিকপ্টারটিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি, তাবরিজ জুমার নামাজের খতিব হোজ্জাতোলেস্লাম আল হাশেম এবং আরও কয়েকজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তি রাইসি
মন্তব্য করুন