ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া এলাকা থেকে তিন জিম্মির মরদেহ উদ্ধারের দাবি করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। খবর বিবিসির।
বিবিসি জানায়, নিহত ওই তিন জনের নাম শনি লুক, অমিত বুসকিলা এবং ইতজাক গেলেরেন্টার। তারা ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হাতে জিম্মি ছিলেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।
আইডিএফ জানিয়েছে, গত ৭ নভেম্বর তাদের হত্যা করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরপর দেহাবশেষ গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। এই লাশগুলো একটি সুড়ঙ্গের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এই ঘটনায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু শোক প্রকাশ করেছেন। এই ঘটনাকে হৃদয়বিদারক উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা আমাদের সকল জীবিত জিম্মি এবং নিহতদের ফিরিয়ে নিয়ে আসবো।
গত বছরের নভেম্বরে হামাস একটি চুক্তির অধীনে এক সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে ১০৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল। এর বিনিময়ে ইসরায়েল কারাগারে থাকা ২৪০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়। এখন হামাসের কাছে কতজন জিম্মি আছে এবং তাদের মধ্যে কতজন বেঁচে আছেন তা স্পষ্ট নয়।
দীর্ঘ দখলদারত্ব আর পশ্চিম তীরে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের প্রতিবাদে গেল বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন সামরিক অভিযান চালায় হামাস যোদ্ধারা। এরপরই গাজায় নির্বিচার বিমান হামলা ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এতে নিহত হয়েছে ৪০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন ৭০ হাজারের বেশি মানুষ।
এদিকে, গত বৃহস্পতিবার বাহরাইনের মানামাতে অনুষ্ঠিত আরব লীগের সম্মেলন থেকে গাজাসহ ফিলিস্তিনের দখলকৃত সব অঞ্চলে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মোতায়েনের আহ্বান জানিয়েছে আরব দেশগুলোর এই জোটটি। সম্মেলনে জোটের রাষ্ট্রপ্রধানদের প্রায় সবাই উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সম্মেলন একটি বিবৃতি দেওয়া হয়। এতে বলা হয়েছে, যত দিন পর্যন্ত দ্বিরাষ্ট্র নীতি কার্যকর না হচ্ছে, ততদিন ২২ দেশের এই জোট ‘মানামা ঘোষণা’ থেকে ফিলিস্তিনের দখলকৃত সব অঞ্চলে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের আহ্বান জানাচ্ছে। এ ছাড়া এই সম্মেলন থেকে ফিলিস্তিনের সব পক্ষকে ফিলিস্তিন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের বা পিএলও'র অধীনে আসার আহ্বানও জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন