কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ মে ২০২৪, ০৯:০৮ এএম
আপডেট : ০৭ মে ২০২৪, ০৯:১২ এএম
অনলাইন সংস্করণ

গাজায় যুদ্ধবিরতি : ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা রাজি হলেও ইসরায়েলের তালবাহানা

সাত ধরে চলছে গাজা যুদ্ধ। ছবি : সংগৃহীত
সাত ধরে চলছে গাজা যুদ্ধ। ছবি : সংগৃহীত

দীর্ঘ সাত মাসের যুদ্ধের পর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুমোদনের পর তারা জানিয়েছে, বল এখন ইসরায়েলের কোর্টে। তবে ইসরায়েল বলছে, হামাস রাজি হলেও তাদের দাবি-দাওয়া এখনো পূরণ হয়নি। এমনকি দক্ষিণ গাজার রাফা শহরে স্থল হামলা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার কথাও জানিয়েছে নেতানিয়াহু সরকার। ফলে দুপক্ষের মধ্যে আলোচনা এত দূর আগালেও ইসরায়েলের তালবাহানায় গাজায় যুদ্ধবিরতি এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। খবর রয়টার্সের।

সোমবার (৬ মে) হামাসের একটি সূত্র জানায়, যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার কথা মিসর ও কাতারি মধ্যস্থতাকারীদের নিশ্চিত করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে প্রতিরোধ সংগঠনটি জানায়, হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া কাতারি প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মাদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি এবং মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান আব্বাস কামেলের সঙ্গে এক ফোনালাপে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার কথা জানান।

হামাসের এমন বার্তার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানায়, কাতার ও মিসরের মধ্যস্থায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি ইসরায়েলের সব দাবি পূরণ করেনি। তবে চুক্তি আলোচনা অব্যাহত রাখার কথাও জানিয়েছে তেল আবিব।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, হামাস যে প্রস্তাবটি অনুমোদন করেছে তা মিসরীয় প্রস্তাবের কাটছাঁট। তবে এতে এমন বিষয়ও রয়েছে যাতে ইসরায়েল রাজি হবে না।

গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন।

অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। এ ছাড়া এ পর্যন্ত ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘সুযোগ পেলেই সে আমাকে ও আমার মেয়েদের কুপ্রস্তাব দেয়’

রাবিতে বিভিন্ন অপরাধে শাস্তি পেলেন যারা

শখের বসে দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

পুলিশ অপ্রয়োজনীয় শক্তি প্রদর্শন করবে না : সিটিটিসি প্রধান

ড. ইউনূসসহ ২০ উপদেষ্টাকে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা, যা জানা গেল

‘ব্যালন ডি’অর’ কে ভুলে যেতে প্রস্তুত রিয়াল মাদ্রিদ

চিরকুট লিখে বীর মুক্তিযোদ্ধার আত্মহত্যা

প্রকাশ্যে দুই নারীকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল

তারেক রহমান একজন মানবিক নেতা : রুমন

অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও দুই বছর সময় দিতে হবে : নুর

১০

সাংবাদিকরা রাষ্ট্রের মেরুদণ্ড : নবী উল্লাহ নবী 

১১

হামজার মতো লাল-সবুজ জার্সিতে খেলার স্বপ্ন দেখেন জায়ান

১২

‘কোনো ধর্মের লোক বাদ দিয়ে সম্প্রীতিমূলক রাষ্ট্র হবে না’

১৩

রাজশাহীর সাবেক এমপি আসাদ রিমান্ডে

১৪

এনআইডির তথ্য বেহাত, কম্পিউটার কাউন্সিলের সঙ্গে ইসির চুক্তি বাতিল

১৫

স্বৈরশাসকদের অধ্যায় কারাগারেই শেষ হয় : প্রেস সচিব

১৬

নাশকতার মামলায় বগুড়ায় কৃষক লীগ নেতা গ্রেপ্তার

১৭

পিরোজপুরে ২ রোহিঙ্গা যুবক আটক

১৮

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নতুন মহাপরিচালকের পরিচয়

১৯

পূজা কমিটির সম্পাদক তাপস পালের স্ত্রীর পরলোকগমন

২০
X