ইসরায়েলে আলজাজিরার সম্প্রচার বন্ধে অভিযান চালিয়েছে নেতানিয়াহুর প্রশাসন। দেশটির মন্ত্রিসভায় এ সংক্রান্ত একটি আইন পাসের পরপরই অভিযান হয়। এ পদক্ষেপের পর সংবাদমাধ্যমটি বন্ধে কতটা সফলতা এসেছে তা জানিয়েছে বিবিসি ও দ্য টাইমস অব ইসরায়েল।
বিবিসি জানায়, রোববার জেরুজালেমের অ্যাম্বাসেডর হোটেলে অবস্থিত আলজাজিরার অস্থায়ী অফিসে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে আল-জাজিরার সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
এরপর থেকে ইসরায়েলের স্যাটেলাইট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াইইএস ও এইচওটি আলজাজিরার সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়। তারা চ্যানেলটির নির্দিষ্ট পাতায় একটি বার্তা সাঁটিয়ে রেখেছে। সেখানে লেখা, ‘সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইসরায়েলে আলজাজিরা স্টেশনের সম্প্রচার বন্ধ করা হয়েছে।’
তবে এটি এক তরফাভাবে করা হয়েছে। ইসরায়েল থেকে ফেসবুকে আল জাজিরার সম্প্রচার দেখা যাচ্ছে।
অপরদিকে রোববার সন্ধ্যা থেকে ইসরায়েলে আল জাজিরার ইংরেজি ও আরবি ভাষার ওয়েবসাইট ব্লক দেখাচ্ছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে আবার সেটি ভিজিট করতে পারছেন কেউ কেউ। তবে তা খুবই নগণ্য। এটিও খুব দ্রুত বন্ধের চেষ্টা চলছে।
রোববার চ্যানেলটিকে হামাসের মুখপত্র আখ্যা দিয়ে এর কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর আগে একই দিন কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যমটি বন্ধে সর্বসম্মতিক্রমে ভোট দেয় বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা।
পরে সংবাদমাধ্যমটির ব্যুরো অফিসে অভিযান হয়। এ সময় বিবিসির সাংবাদিককে ভিডিও করতে বাধা দেয় ইসরায়েলি পুলিশ। পরে অবশ্য অভিযানের ভিডিও প্রকাশ করে পুলিশ।
ইসরাইলের যোগাযোগমন্ত্রী শ্লোমো কার্হি বলেন, আমাদের পুলিশ আলজাজিরার অফিসে গেছে। সেখান থেকে যন্ত্রপাতি জব্দ করেছে। অফিসটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, সংবাদমাধ্যমটির কার্যক্রম সাময়িকভাবে ইসরায়েলে বন্ধে মন্ত্রিসভায় ভোট হয়। ভোটের প্রস্তাবে বলা হয়, বিদেশি সম্প্রচারমাধ্যম ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় হুমকির সৃষ্টি করেছে।
এদিকে আলজাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্ক ইসরায়েলের এ পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করেছে। সংবাদমাধ্যমটি এ কার্যক্রমকে ‘অপরাধমূলক কাজ’ হিসেবে উল্লেখ করে। সে সঙ্গে ইসরায়েল দেশটিতে মুক্ত গণমাধ্যমের দমনের চেষ্টা করে আন্তর্জাতিক ও মানবিক আইনের লঙ্ঘন করছে বলেও মন্তব্য করা হয়।
মন্তব্য করুন