জর্ডানে ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে আবারও বিক্ষোভ করেছে হাজারো মানুষ। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মধ্যরাতে আম্মানে এ বিক্ষোভ হয়।
ফিলিস্তিনি মিডিয়ার বরাতে ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা ইরনা জানায়, গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে হামলা বন্ধে মধ্যরাতে উত্তাল হয়ে উঠে আম্মান। বিক্ষোভকারীরা তেলআবিবের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয় এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবি জানায়।
বিক্ষোভকারীরা জানান, তারা গাজা উপত্যকার নিপীড়িত জনগণের পক্ষে। ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক সংঘটিত অপরাধের বিরুদ্ধে তারা নিন্দা জানান। ইসরায়েলকে এখনই থামাতে হবে। এ বর্বরতা চলতে থাকায় তারা মানসিক যন্ত্রণায় ঘরে শান্তিতে ঘুমাতে পারছেন না। বিবেকের তাড়নায় মধ্যরাতে রাস্তায় নেমে এসেছেন।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আম্মান সফর করছেন। তিনি জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকের এক ঘণ্টা পর এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
গত বছর গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর থেকে জর্ডানে ইহুদিবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারী কিছু দিন পর পরই ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছেন। এতে বিভিন্ন সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জর্ডানিদের দাবি, গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধ করতে হবে এবং অভিযানের নামে ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে ওঠা মানবাধিকার লঙ্ঘনের আন্তর্জাতিক বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া বাদশাহর বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে সহায়তা করার অভিযোগ তুলছেন বিক্ষোভকারীরা। তারা শরণার্থী ফিলিস্তিনিদের গণহারে জর্ডানে আশ্রয় দেওয়ার দাবিও জানিয়ে আসছেন।
এ ছাড়া ইসরায়েলে হামলা করতে ইরানের ছোড়া ড্রোন ভূপাতিত করে মুসলমান বিশ্বে সমালোচিত হয় জর্ডান। জর্ডানিরা বলেন, ইসরায়েলকে সহায়তা করে জর্ডান সরকার ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, যা লজ্জার।
মন্তব্য করুন