গাজায় ইসরায়েলি হামলায় মায়ের মৃত্যুর পরও গর্ভ থেকে জীবিত উদ্ধার করা শিশুটিকে শেষমেশ বাঁচানো গেল না। বৃহস্পতিবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা গেছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, শিশুটির নাম রাখা হয় সাবরিন আল-সাকানি। তাকে উদ্ধার করে রাফার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। হাসপাতালটিতে চরম বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে শিশুটির ফুসফুসে বিশেষ পদ্ধতিতে বাতাস সরবরাহ করার চেষ্টা করেন চিকিৎসকেরা।
কিন্তু সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে সে মারা গেছে। শিশুটিকে বৃহস্পতিবারই তার মায়ের পাশে দাফন করা হয়।
এর আগে শনিবার রাতে রাফায় ভয়াবহ হামলা চালায় ইসরায়েলিরা। ওই হামলায় ১৯ ফিলিস্তিনি নিহত হন। এদের মধ্যে শিশুটির মাও ছিলেন। তার মা মৃত্যুর সময় ৩০ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
পরে ওই মায়ের সিজারিয়ান অপারেশন করে চিকিৎসকরা মেয়ে শিশুটিকে জীবিত বের করেন। জন্মের সময় তার ওজন ছিল ১ দশমিক ৪ কেজি। তাকে মোহাম্মদ সালামা নামের এক চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছিল।
মৃত মায়ের পেট থেকে জন্ম নেওয়া শিশুটির বাবা ও বোনও এই হামলায় নিহত হয়েছে। ফলে এতিম অবস্থাতেই জন্ম হয়েছে তার।
শিশুটির চাচা জানিয়েছেন, হামলায় নিহত হওয়া তার বোন মালাক শিশুটির নাম রাখতে চেয়েছিল রুহ। যার বাংলা অর্থ আত্মা। তিনি বলেছেন, ‘পৃথিবীতে বোন আসছে, এজন্য খুবই খুশি ছিল মালাক।’
এত শিশু ও নারীর প্রাণহানির ব্যাপারে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তারা দাবি করেছে, রাফায় সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছে। তবে রয়টার্স জানায়, মূলত বেসামরিকদের ভবনের ওপর হামলা হয়েছিল।
মন্তব্য করুন