ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ইসরায়েল সেনাবাহিনীর একটি ইউনিটের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আগামী কয়েকদিনের মধ্যে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেবেন। সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার খবরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ দেশটির শীর্ষ কর্তাব্যক্তিরা। খবর: আলজাজিরার
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘নেতজাহ ইয়েহুদা’ নামের এই ইউনিটটি ফিলিস্তিনের দখলকৃত পশ্চিম তীরে মোতায়েন রয়েছে। সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বহু অভিযোগ রয়েছে এই ইউনিটটির বিরুদ্ধে। ইউনিটটির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রস্তুতির তথ্য নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা।
বড় ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর অন্যান্য ইউনিট ও পুলিশের বিরুদ্ধেও মার্কিন প্রশাসন একই ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে বলে জানানো হয়েছে। নেতজাহ ইয়েহুদার ওপর এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলে ব্যাটালিয়নটি মার্কিন বাহিনীর কোনো সহায়তা পাবে না। এমনকি মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে কোনো প্রশিক্ষণে অংশ নিতে পারবেন না বাহিনীর সদস্যরা। এ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সহায়তায় চলা প্রশিক্ষণ কার্যক্রম থেকেও তাদের বিরত রাখা হবে।
শুক্রবারে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের এক বক্তব্যের পর নেতজাহ ইয়েহুদার ওপর সম্ভাব্য এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি সামনে আসে। ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন, ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের লেইহি আইনের লঙ্ঘন করেছে, এমন অভিযোগের ভিত্তিতে কিছু ব্যবস্থা নিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।
১৯৯৭ সালে লেইহি আইন কার্যকর করে যুক্তরাষ্ট্র। এই আইনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনীর কোনো ইউনিটকে সামরিক সহায়তা বন্ধের কথা বলা হয়েছে। আইনটি কার্যকরের পর থেকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বিশ্বে নিরাপত্তা বাহিনীর শত শত ইউনিটের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন সরকার।
নিষেধাজ্ঞার খবরে ইসলায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে উল্লেখ করেন, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত নয়। ইসরায়েল সরকার এ ধরনের পদক্ষেপের বিরোধিতা করবে। নেতানিয়াহু বলেন, আইডিএফের একটা ইউনিটের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ চরম অযৌক্তিক এবং অনৈতিক।
মন্তব্য করুন