ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার খান ইউনিস শহরে আরেকটি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। এই গণকবর থেকে ৫০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (২১ এপ্রিল) ফিলিস্তিনি জরুরি পরিষেবা বিভাগ এসব তথ্য জানিয়েছে। খবর আলজাজিরার।
জরুরি পরিষেবা বলছে, খান ইউনিসের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে একটি গণকবরের সন্ধান পেয়েছেন তারা। এই কবরে ৫০ জন মানুষের লাশ দাফন করা হয়েছে। এখনো সেখানে আরও মানুষের লাশ থাকতে পারে। তাই তাদের দলের সদস্যরা উদ্ধার ও তল্লাশি অব্যাহত রেখেছে।
গত ৭ এপ্রিল দক্ষিণ গাজার এই শহর থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। শহরে থেকে ইসরায়েলি সেনারা চলে যাওয়ার পরই এই গণকবরের সন্ধান মিলল।
এদিকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত মানুষের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ৪৯ জনে পৌঁছেছে। এ ছাড়া এ পর্যন্ত আহত হয়েছে ৭৬ হাজার ৯০১ জন।
গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন।
হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রথম দিকে ইসরায়েলি বাহিনী উত্তর গাজায় হামলা চালায়। ফলে ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে অধিকাংশ ফিলিস্তিনি দক্ষিণ গাজায় এসে আশ্রয় গ্রহণ করেন। এখন দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে রাফা শহরে স্থল অভিযানে নামার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে এই রাফা শহরে গাজার মোট ২৩ লাখ জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি মানুষ আশ্রয় গ্রহণ করেছেন।
মন্তব্য করুন