সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে হামলার জেরে ইসরাইয়েলকে কোনোভাবেই ছাড় দিতে নারাজ তেহরান। এই হামলার প্রতিশোধ নিতে এখন মরিয়া হয়ে উঠেছে ইরান। যে কোনো মুহূর্তে ইসরায়েল ভূখণ্ডে বা স্থাপনায় হামলা চালিয়ে বসতে পারে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম প্রভাবশালী দেশ ইরান। সেই শঙ্কা ভর করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মনেও। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইরান যে হামলা চালাতে পারে বা সেই সক্ষমতা আছে তা জেনেই আগে ভাগে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। হামলা-পাল্টা হামলা নিয়ে চরম উত্তেজনার মধ্যে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের দূত জানান, নিরাপত্তা পরিষদ যদি ইসরায়েলি আগ্রাসনের নিন্দা জানাত বা তাদের বিচারের মুখোমুখি করত তাহলে ইরান এতটা ক্ষেপত না।
এদিকে ইসরাইয়েল এই হামলার দায় স্বীকার না করলেও ইরানের দেয়া হুঁশিয়ারিবার্তার পর থেকেই দামেস্কের প্রতিশোধমূলক হামলার আশঙ্কায় ওই অঞ্চলে মার্কিন ও ইসরায়েলি বাহিনীকে উচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে। এমনকি তাদের যতগুলো স্থাপনা আছে সেগুলোতে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। ইসরায়েলি সব সেনার ছুটিও বাতিল করা হয়েছে আগেই। এত এত প্রস্তুতি দেখে সমরবিদরা শঙ্কা করছের খুব দ্রুত মধ্যপ্রাচ্যে আঞ্চলিক যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থা ও গণমাধ্যমগুলো বলছে, সব ধরনের হামলার প্রস্তুতি নিয়েছে ইরান। যে কোনো সময় মধ্যপ্রাচ্যের যে কোনো জায়গায় ইসরায়েলি স্বার্থে আঘাত হানতে পারে তেহরান। এমন উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া ও জার্মানি। জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহহিয়ানের সঙ্গে ফোনালাপে উত্তেজনার তীব্রতা বৃদ্ধি এড়াতে ‘সর্বোচ্চ সংযম’ প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের নাগরিকদের মধ্যপ্রাচ্য, বিশেষ করে ইসরায়েল, লেবানন ও ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে।
ইরানের পাল্টা হামলার আশঙ্কার মধ্যেই ইসরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইরান হামলা করলে ইসরায়েলের প্রতি দৃঢ় সমর্থনের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন ইসরায়েলের নিরাপত্তার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, ইরান ও তার প্রক্সিদের যে কোনো হুমকির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পাশে থাকবে।
মন্তব্য করুন