ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে শিশুদের মধ্যে দ্রুত তীব্র অপুষ্টি ছড়িয়ে পড়ছে। বর্তমানে উত্তর গাজায় দুই বছরের কম বয়সী প্রতি তিনজন শিশুর মধ্যে দুজন তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। শনিবার (১৬ মার্চ) সামাজিকমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে এসব তথ্য জানিয়েছে অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে জাতিসংঘের প্রধান ত্রাণসহায়তাবিষয়ক সংস্থা ইউএন রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজিস (ইউএনআরডব্লিউএ)। খবর আলজাজিরার।
ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, গাজায় শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং সেটি নজিরবিহীন পর্যায়ে পৌঁছেছে। এমনকি অনাহার ও অপুষ্টিতে ভুগে বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে শিশুদের মৃত্যুর খবর আসছে।
এদিকে গত শুক্রবার মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে হামাসের সঙ্গে জিম্মি ও বন্দিবিনিময় ও যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়ে অধিকতর আলোচনার জন্য কাতারে একটি প্রতিনিধিদল পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। এ বিষয়ে জানাশোনা আছে এমন একটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, ইসরায়েলি এই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়া। তার আগে হামাসের দেওয়া প্রস্তাব নিয়ে নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাতদিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন।
পবিত্র রমজান মাসের আগে দুপক্ষের মাঝে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা গেলেও শেষ পর্যন্ত এই চুক্তিটি আর হয়নি। বর্তমানে যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিতে মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে হামাসের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল।
মন্তব্য করুন