ইসরায়েলের বিভিন্ন কঠোর নিরাপত্তা বিধিনিষেধ সত্ত্বেও পবিত্র রমজান মাসের প্রথম জুমায় আল আকসা মসজিদে ৮০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করেছেন। তবে অধিকৃত পশ্চিম তীর থেকে আসা হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে নামাজ করতে অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে প্রবেশ করতে বাধা দিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার (১৫ মার্চ) আল আকসা মসজিদের দেখভালের দায়িত্বে নিয়োজিত ইসলামিক ওয়াকফের বরাতে এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।
সারা বিশ্বের মুসলিমদের কাছে তৃতীয় পবিত্র স্থান আল আকসা মসজিদ। আর ইহুদিদের কাছেও এটি পবিত্র স্থান। তাদের কাছে এটি ‘টেম্পল মাউন্ট’ হিসেবে পরিচিত।
আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুধু ৫৫ বা তার বেশি বয়সী পুরুষ এবং ৫০ বছরের বেশি বয়সী নারীদের মসজিদে প্রবেশের অনুমতি দেয় ইসরায়েল। এ ছাড়া মসজিদে প্রবেশের ক্ষেত্রে সবাইকে অবশ্যই বৈধ অনুমতিপত্র দেখাতে হয়েছে। ফলে অধিকাংশ ফিলিস্তিনি মুসল্লি জুমার নামাজ পড়তে মসজিদে প্রবশে করতে পারেননি।
ফিলিস্তিনি ন্যাশনাল ইনিশিয়েটিভের মহাসচিব মোস্তফা বারঘৌতির জানান, ৯৫ শতাংশের বেশি ফিলিস্তিনিকে আল আকসা মসজিদে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। যাদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে তারা সংখ্যায় খুব কম। তাদের বয়স ৫৫ বছরের বেশি। পবিত্র এই মসজিদে প্রবেশের জন্য তাদের কঠিন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রথমত, তাদের ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে একটি বিশেষ ম্যাগনেটিক সিকিউরিটি কার্ড নিতে হবে। এটি পেতে অনেক সময় লাগে। আবার সবাইকে এটা দেওয়া হয় না। তাদের সরাসরি ইসরায়েলিদের কাছ থেকে একটি বিশেষ অনুমতি নিতে হবে। এসব জটিলতার কারণে অনেক মানুষ ঢুকতে পারেননি।
মোস্তফা বারঘৌতি আরও বলেন, অনেক মানুষ ক্ষুব্ধ। এ জন্য পরিস্থিতি আরও উত্তেজনাকর হচ্ছে। ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞা, মারধর ও উসকানির কারণে মসজিদের ভেতরে উত্তেজনা অনেক বেশি। আমার মনে হয় এসব উসকানির কারণে একটি সমস্যা তৈরি হতে পারে।
মন্তব্য করুন