গাজার আল-শিফা হাসপাতালে না খেতে পেয়ে আরও তিন শিশু মারা গেছে। শুক্রবার (৮ মার্চ) গভীর রাতে গাজা শহরে অপুষ্টি ও পানিশূন্যতার কারণে এই তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে অনাহারে এখন পর্যন্ত ২৩ জন শিশুর মৃত্যু হলো। খবর আলজাজিরার।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা বলেছেন, আল-শিফা হাসপাতালে এসব শিশু মারা গেছে। এ নিয়ে গাজায় অনাহারে মারা যাওয়া শিশুর সংখ্যা ২৩ জনে পৌঁছেছে।
এসব শিশুর অধিকাংশ উত্তর গাজায় মারা গেছে। গাজার এই অঞ্চল কঠোর অবরোধ আরোপ করে রেখেছে ইসরায়েল। যদিও সেখানে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করে আসছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) সতর্ক করে বলেছিল, গাজায় শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী ও মায়েদের মধ্যে অপুষ্টির তীব্র বৃদ্ধি তাদের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করেছে।
এরপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস জানান, উত্তর গাজায় অপুষ্টি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। শিশুরা অনাহারে মারা যাচ্ছে। জ্বালানি, খাদ্য ও চিকিৎসা সরঞ্জামের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। হাসপাতালের ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রায় ৩ লাখ মানুষ খুব নগণ্য পরিমাণ খাবার ও বিশুদ্ধ পানির ওপর বসবাস করছেন।
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচারে হামলা করে আসছে ইসরায়েল। এই যুদ্ধে ইসরায়েলের অন্যতম বড় সমর্থক ইউরোপের দেশ জার্মানি। ইতিমধ্যে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৩০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৭২ হাজারের বেশি আহত হয়েছে।
মন্তব্য করুন